উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় সুমন চন্দ্র পাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গভীর রাতে ছিনতাইকারীর চাপাতি ও ছুরির আঘাতে আহত হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিবির গুলশান জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহবুবুল হক সজীব জানান, রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের চাপঘর রেস্টুরেন্টে সিনিয়র ওয়েটার হিসেবে কাজ করতেন ২৭ বছরের সুমন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে কর্মস্থল থেকে গুদারাঘাটের মেসে যাচ্ছিলেন। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে উত্তর বাড্ডার লাজ ফার্মার বিপরীতে প্রগতি সরণীর ফুটপাতে পৌঁছান তিনি। তখন একটি রিকশায় আসা তিন ব্যক্তি তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। খবর পেয়ে সহকর্মীরা উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী প্রতিমা রানী পাল অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন। ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবির গুলশান জোনাল টিমও ঘটনাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে।
তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দাসূত্রে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং মালিবাগ আবুল হোটেল থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া আরিফ তালুকদারকে গত ৭ মার্চ এবং ইমরান হোসেন ও শ্যামল রায়কে গত ১৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, রিকশা ও ঘটনার সময় আসামিদের পরনে থাকা কাপড় জব্দ করা হয়।তিনি বলেন, আসামিরা ঘটনার রাতে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রিকশা নিয়ে মধ্যবাড্ডা থেকে বের হয়। তারা রামপুরার দিকে যাওয়ার পথে সুবাস্তু মার্কেটের বিপরীতে সুমনকে টার্গেট করে। তাঁকে ছুরিকাঘাত করে ব্যাগ ও মানিব্যাগ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে যায়। ডিবি জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের ১৭ দিনের মাথায় তিনি ছিনতাইকারীদের ছুরিতে আহত হন এবং পরে মারা যান। অসহায় পরিবারের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন তিনি।
উত্তরণবার্তা/এআর