শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০১:৫৬

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার : ভূমিহীন ও গৃহহীন সবাই পাচ্ছেন জমিসহ স্বপ্ননীড়

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার : ভূমিহীন ও গৃহহীন সবাই পাচ্ছেন জমিসহ স্বপ্ননীড়

উত্তরণ বার্তা  ডেস্ক : ‘দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মর্মে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছেন দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো। দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০” প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত নীতিমালার নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি বাড়ি দেয়া হবে। জেলা প্রশাসকগণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১ এবং ‘যার জমি আছে কিন্তু ঘর নাই’ এমন পরিবারের সংখ্যা ৫ লাখ ৯২ হাজার ২৬১। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারের প্রত্যেককে ২ শতক সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানসহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ২১ জেলার ৩৬ উপজেলার ৪৪টি প্রকল্পে ৩ হাজার ৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনের মাধ্যমে সারা দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে এই ঘরগুলো তুলে দেয়া হবে। দেশের কোন এলাকায় কতগুলো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেতে যাচ্ছে তাদের মাথা গোঁজার ঠাই তা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় প্রেসব্রিফিং করে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণ। আসুন জেনে নেই প্রতিবেদকদের পাঠানো খবরে।

দিনাজপুর : জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ২২টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার বাড়ি পাবেন। প্রথম পর্যায়ে মোট ৪ হাজার ৭৬৪টি বাড়ি নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ২২টি গৃহহীন ও উপকারভোগি পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়ির কাগজপত্র হস্তান্তর করা হবে। এ তথ্য জানান দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম। তিনি জানান, দিনাজপুর জেলায় মোট ১৩ হাজার ২১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। এসব গৃহের মধ্যে ৫ বা ততোধিক গৃহ যেসব স্থানে গুচ্ছ আকারে নির্মিত হচ্ছে, সেসব স্থানকে “জয় বাংলা ভিলেজ” নামে নামকরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মোট ১৭২টি “জয় বাংলা ভিলেজ” গড়ে উঠছে। বরাদ্দ প্রাপ্তির পর অবশিষ্ট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলার সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সাতক্ষীরা : জেলার ১ হাজার ১৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এর মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। ‘আশ্রয়ণের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য নির্মিত বাসগৃহগুলো ইতমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান।

খুলনা : জেলার ৯টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি পরিবারকে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট নবনির্মিত ঘরসহ জমি প্রদান করা হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ এসব তথ্য জানানো হয়। খুলনা জেলায় ক’ শ্রেণির তালিকাভুক্ত ভুমিহীন ও গৃহহীন ৫ হাজার ৮৮টি পরিবারকে পর্যায়ক্রমে গৃহ প্রদান করা হবে। এর অংশ হিসেবে খুলনা জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে জেলার ৯টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট একটি করে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও দেড় হাজার ঘর নির্মাণের প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে।

নোয়াখালী : ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে ঘর পাচ্ছে ৮৫৫টি গৃহহীন পরিবার। জেলা প্রশাসক জানান, ১ম ধাপে নোয়াখালীর ৯ উপজেলার ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্ধকৃত ৮৫৫টি ঘরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া ১৫০টি ঘর উপকারভোগী পরিবারের অনুকূলে হস্তান্তর করা হবে। অবশিষ্ট আরো ৭০৫টি ঘর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকীর আগেই গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

বগুড়া : জেলায় ১২ টি উপজেলায় ১৭০২ টি পরিবার ১ হাজার ৪৫২ টি ঘর পচ্ছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের নিকট ঘর হস্তান্তর করা হবে। জেলা প্রশাসক মো. জিয়উল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বগুড়ার ১২ টি উপজেলায় মোট ১৪৫২ টি গৃহের মধ্যে বগুড়া সদরে ২৫০ টি শাজাহানপুরে ১৫ টি শেরপুরে ২৬৩ টি,ধুনটে ১০১ টি, সারিয়াকান্দিতে ১০৭ টি , সোনাতলায় ১২৫ টি,গাবতলীতে ৪৫ টি , শিবগঞ্জে ১৮০ টি, আদমদিঘীতে ১০০ টি, দুপচাঁচিয়ায় ১৩৩ টি , কাহালুতে ৭৭ টি, নন্দ্রীগামে ১৫৬ টি গৃহ প্রদান করা হবে। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে বগুড়ায় সর্বোচ্চ গৃহ পাবে বগুড়ার গৃহহীন মানুষ।

নেত্রকোনা : জেলার ১০টি উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৩০টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হবে। জেলা প্রশাসক কাজি মোহাম্মদ আবদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
কুমিল্লা : দেশব্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পূণর্বাসন কর্মসূচির আওতায় জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩৫৯ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ৩৫৯টি নবনির্মিত ঘর হস্তান্তর করা হবে। জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জেলার ১৭টি উপজেলায় ৩৫৯ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে নবনির্মিত গৃহ প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রায়নের জন্য জেলায় ৭৪৩টি গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে নবনির্মিত ৩৫৯টি গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রদানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

গাজীপুর : জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলায় মোট ২৮৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২১০টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭৫টি গৃহ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে ২১০টি ঘরের মধ্যে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ১০০টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৯০টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ২০টি গৃহ বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে কাপাসিয়ায় ৪২টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৫৫টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ২০টি গৃহ নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। এসব গৃহ উপকারভোগীদের নামে কবুলিয়ত দলিল ও নামজারি সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব গৃহ ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী উপকারভোগীদের নিকট হস্তান্তর করবেন। তিনি আরো জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে জেলার গাজীপুর সদরে ৫০টি ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ২৫টি গৃহ নির্মাণ করা হবে। এলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই যোগ্য উপকারভোগী বাছাই সম্পন্ন করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম : জেলায় দেড় হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ জমিসহ নতুন ঘর পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রতিটি পরিবার ২শতক জমির উপর নির্মিত একটি দুইকক্ষ বিশিষ্ট ঘর এবং টয়লেট ও রান্নাঘর পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে জমির কবুলিয়ত, নামজারিসহ খতিয়ান ও একটিসনদপত্র পাচ্ছেন। জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম এ তথ্য জানান। রাজীবপুরে ৩০০টি, কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর ও ভুরুঙ্গামারীতে ২০০টি করে পরিবার ছাড়াও রাজারহাটে ৭০টি, চিলমারীতে ১০০টি, নাগেশ্বরীতে ২৬৪টি, ফুলবাড়ীতে ১৬৫টি ও রৌমারীতে ৫০টি পরিবারসহ মোট ১ হাজার ৫৪৯টি পরিবার এই সুবিধা পাচ্ছেন। এতে মোট ৪৯ দশমিক ৬৭ একর খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘর নিমর্িাণে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

নারায়ণগঞ্জ : জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৬৬৭ গৃহহীন পরিবার নতুন ঘর পাচ্ছে। ইতিমধ্যে গৃহনির্মাণ কাজ শেষ। জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় জেলার পাঁচটি উপজেলায় বরাদ্দকৃত ৬৬৭টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্সের দিন ৩৪৬টি পরিবারকে ২ শতাংশ পরিমাণ জমির ওপর নতুন ঘর, রান্নাঘর,টয়লেট বুঝিয়ে দেয়া হবে। বাকি ৩২১টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বরাদ্দকৃত এসব ঘরে বিদুৎ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

শেরপুরে : জেলায় ১ হাজার ৩৩৩ জন ভূমি ও গৃহহীন পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর। এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। তিনি বলেন, ‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’-এই শ্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় যাদের জমি নেই, ঘর নেই তাদের পূনর্বাসনের জন্য শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলায় সরকারি খাস জমিতে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি জানান, ১ হাজার ৩৩৩টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩০২টি, নালিতাবাড়ীতে ২২০টি, নকলায় ৩৩৫টি, শ্রীবরদীতে ২৬৭টি এবং ঝিনাইগাতীতে ২০৯টি পরিবার পাবেন সরকারি এই ঘর। ইতিমধ্যেই ২০৭টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

শরীয়তপুর : জেলায় ৬৯৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় পরিবারের মাঝেবিনামূল্যে ঘর হস্তান্তর করা হবে। জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান, প্রধানমন্ত্রী’র উপহার জেলার ৬৯৯ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হবে। আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানন্ত্রীর উদ্বোধনের মাধ্যমে ২ শতক জমির কবুলিয়াত দলিল ও সনদসহ ৫০০ ঘর হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বাকিগুলোও এ মাসের মধ্যেই হসান্তর করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পিরোজপুর : জেলায় ১ হাজার ১৭৫টি গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ করা হবে। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য জানান। পিরোজপুরের জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত ১ হাজার ১৭৫টি ঘরের মধ্যে ইতোমধ্যেই ৩৭৫টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। যাদের জমি নাই তাদের ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া পূর্বক কবুলিয়ত দলিল ও নামজারী সম্পন্ন করা হয়েছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২, ভূমি মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় পিরোজপুর এ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভূমি বন্দোবস্ত দেয়া ও ঘর নির্মাণ করছেন।

ঠাকুরগাঁও : জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে গৃহ হস্তান্তরের জন্য জেলার ৫টি উপজেলায় ৭৯২টি গৃহনির্মাণ করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে ১ হাজার ২১৭টি গৃহের জমি নির্বাচন ও নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

হবিগঞ্জ : জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, জেলার ৭৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। জেলার সদর উপজেলায় ১৩৫টির মধ্যে প্রথমধাপে ৫০টি ও দ্বিতীয়ধাপে ৮৫টি, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ৫৫টির মধ্যে প্রথমধাপে ২৫টি ও দ্বিতীয়ধাপে ৩০টি, লাখাইয়ে ৭৭টির মধ্যে প্রথমধাপে ১৮টি ও দ্বিতীয়ধাপে ৫৯টি, নবীগঞ্জ উপজেলায় ১১০টির মধ্যে প্রথমধাপে ২৫টি ও দ্বিতীয়ধাপে ৮৫টি, বানিয়াচংয়ে ১০৫টির মধ্যে প্রথমধাপে ৩৭টি ও দ্বিতীয়ধাপে ৬৮টি আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ৮৮টির মধ্যে প্রধমধাপে ২০টি এবং দ্বিতীয়ধাপে ৬৮টি, চুনারুঘাটে ৮০টির মধ্যে প্রথমধাপে ৭৪টি ও দ্বিতীয়ধাপে ৬টি, বাহুবলে ৫৭টির মধ্যে প্রথমধাপে ৩০ ও দ্বিতীয়ধাপে ২৭টি এবং মাধবপুর উপজেলায় ৮০টির মধ্যে প্রথমধাপে ৪৬ ও দ্বিতীয়ধাপে ৩৪টি ঘর নির্মান ও হস্তান্তর করা হবে। এর বাইরে জনপ্রতিনিধিদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২৫টি এবং উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল থেকে ১৬টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
সিলেট : জেলার ১৩ টি উপজেলায় ৪ হাজার ১৭৮ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে স্বপ্ন নীড় নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৪০৬টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। বাকি ঘরগুলোও নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। যাচাইবাছাই শেষে প্রকৃত ভূমিহীন ও ঘরহীনদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। তিনি জানান, সিলেট জেলার ১৩ টি উপজেলার মধ্যে সিলেট সদরে ১৪৪টি, দক্ষিণ সুরমায় ১২০ টি, বিশ্বনাথে ৬৬৯টি, ওসমানীনগরে ৫৩৩টি, বালাগঞ্জে ৮৭৫টি, বিয়ানীবাজারে ১০৪টি, গোলাপগঞ্জে ২০০টি, ফেঞ্চুগঞ্জে ১৩০টি, গোয়াইনঘাটে ৫০০টি, কানাইঘাটে ১৯৩টি, জৈন্তাপুরে ৩৩০টি, জকিগঞ্জে ১৩০টি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ২৫০টি ঘর নির্মাণ ‘স্বপ্ন নীড়’ করে দিচ্ছে সরকার।

ঝালকাঠি : জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, জেলার ৪৭৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৩০টি ঘর বসবাসের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৬৫টি, নলছিটি উপজেলায় ৪০টি, রাজাপুর উপজেলায় ৭৫টি এবং কাঁঠালিয়া উপজেলায় ৫০টি পরিবার পাচ্ছে বসতঘর।

গোপালগঞ্জ : ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৭৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার বসতবাড়ি পাচ্ছে।

নীলফামারী : জেলায় ৬৩৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। ইতিমধ্যে ঘর হস্তান্তরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘর উপহার পাচ্ছেন ৬৩৭ গৃহহীন পরিবার। সদর উপজেলায় ৯৯টি, সৈয়দপুরে ৩৪টি, ডোমারে ৩৮টি, ডিমলায় ১৮৫টি, জলঢাকায় ১৪১টি ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৪০টি পরিবার রয়েছে।

মেহেরপুর : জেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৮ টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হবে বলে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান জানান।

বান্দরবান : জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ৬ হাজার ৮৬৭ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা হয়েছে এবং প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ১৩৪টি বাড়ী তৈরির কাজ চলমান রয়েছে এবং প্রথমে তৈরিকৃত ৩৩৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের এই সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

জয়পুরহাট : জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জেলার পাঁচটি উপজেলার ১৬০টি ভূমিহীন ও গৃহহীণ পরিবার নতুন বাড়ি পাচ্ছে। বরাদ্দপ্রাপ্তদের মধ্যে জেলার সদর উপজেলায় ৪৬টি, পাঁচবিবি উপজেলায় ৪৫টি,আক্কেলপুর উপজেলায় ২১টি, কালাই উপজেলায় ৪০টি ও ক্ষেতলাল উপজেলায় ৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার রয়েছে।
নড়াইল : জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩২৫টি বাড়ি নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০৫টি বাড়ি নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আরও ২২০টি বাড়ি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করা হবে বলে জানালেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

নাটোর : জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, জেলায় ৫৫৮টি সেমিপাকা গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নিকট হস্তান্তরের জন্যে এখন প্রস্তুত। আগামীকাল জমির মালিকানা দলিলসহ গৃহের চাবিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের তালিকা প্রণয়ন, খাস জমি বন্দোবস্ত, কবুলিয়াত ও সনদ প্রদানের কার্যক্রম ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে।

ময়মনসিংহ : জেলার গফরগাঁও উপজেলার ২০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধা পাকা ঘর স্বপ্ননীড়। উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নে ১৬টি, সালটিয়া ইউনিয়নে ১৩টি, রাওনা ইউনিয়নে ১টি, গফরগাঁও ইউনিয়নে ৭টি, দত্তেরবাজার ইউনিয়নে ৪৮টি, পাঁচবাগ ইউনিয়নে ৫২টি, টাংগাব ইউনিয়নে ১৮টি, লংগাইর ইউনিয়নে ১৩টি, পাইথল ইউনিয়নে ১৬টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান।

বাগেরহাট : বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক জানান, জেলায় গৃহহীন ও ভুমিহীনদের জন্য ৪১৫টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। জেলার প্রতিটি উপজেলায় গৃহ নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। আরও ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

পঞ্চগড় : জেলার ৪৩টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৭ টি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তৈরী করা হয়েছে পাকা বাড়ি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় ২০৮ টি, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৫৮২ টি, বোদা উপজেলায় ৫৫টি, তেতুলিয়া উপজেলায় ১৪২টি, আটোয়ারী উপজেলায় ৭০ টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে।
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ
আরও সংবাদ