উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : দুদকের দায়ের করা মামলায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বাজেট সহকারী জহির উদ্দিন বাবরকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে জহির উদ্দিন বাবরকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৪ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অসাধু উপায় অর্জিত ৫ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।এছাড়া মানিলন্ডারিং আইনের অভিযোগে তাকে আরও ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিন ধারার সাজা পৃথক পৃথক কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে তাকে ১২ বছরের সাজা ভোগ করতে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন।
এ মামলায় জহির উদ্দিন বাবর পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। লক্ষ্মীপুর সদর থানার আমানী লক্ষ্মীপুরের হাজী মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে জহির উদ্দিন বাবর।অভিযোগে জানা যায়, এক কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮০ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করে বাবার। এরপর মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও অবৈধ পন্থায় অর্জিত আয় স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে ৫ কোটি ৬৮ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রাখার অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল কাদের ভূঁইঞা ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি জহির উদ্দিন বাবরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্তের পর ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর একই কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
উত্তরণবার্তা/এআর