শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১২:১৬
ব্রেকিং নিউজ

বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না : শেখ পরশ

বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না  : শেখ পরশ

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, নির্বাচন হবে জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে। নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটা অবাধ, নিরপেক্ষ এবং যথাযথ পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। কোনো বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না। ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর ও ১১ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ‘পদযাত্রা’র নামে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতিসহ গাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
 
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘বিএনপি এখন চাচ্ছে লাশের রাজনীতি করতে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি বিভিন্ন অপচেষ্টা করবে। তারেক জিয়া চাচ্ছেন, বাংলাদেশে যাতে নির্বাচনটা না হয়। কারণ তিনি মানি লন্ডারিং মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা তার বিরুদ্ধে চলছে। তিনি জানেন, সঠিক নির্বাচন হলে ১৫১ সিট তারা পাবেন না। তাই তারা লাশের রাজনীতি করে নির্বাচন বানচাল করতে।’তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির পদযাত্রায় কোনো জনসম্পৃক্ততা নাই, কারণ জনগণের ওপর তাদের অত্যাচারের কথা জনগণ ভুলে নাই। ২০১৪ সালের অগ্নিসংযোগের কথা জনগণ ভুলে নাই। সার ও বিদ্যুতের জন্য কৃষকদের ওপর গুলির কথা জনগণ ভুলে নাই। এ জন্য তারা হতাশায় ভুগেছে এবং সেই হতাশা থেকে তারা দিগ্বিদিক হারিয়ে ফেলেছে। তাদের সন্ত্রাসী চেহারা বের হয়ে আসছে।’
 
‘বিএনপি নেতৃত্বের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নাই’ উল্লেখ করে শেখ পরশ বলেন, ‘কারণ তারা প্রতারক গোষ্ঠী, জনগণের ভোট পাইলে জনগণকে ভুলে যেতে তাদের দুই সেকেন্ডও লাগে না। আমি আহ্বান করতে চাই আপনাদের কাছে এবং একই সাথে বিএনপির নেতৃবৃন্দদেরও চ্যালেঞ্জ করতে চাই যে অনুগ্রহ করে ২০০১ সালে তাদের নির্বাচনী ইশতিহার বের করে দেখান কয়টা ভোটারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা পূরণ করেছিলেন। তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে যে তারা প্রতারণার রাজনীতি করে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের রাজনীতি করে।’তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের পাশে থাকার কাজ অব্যাহত রাখব এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপসহীন, ভ্যানগার্ড হিসেবে আমরণ সজাগ এবং সরব দৃষ্টি রাখব এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করব। সেই মর্মে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
 
তিনি আরও বলেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের প্রতিবাদ সমাবেশ, বিকেল ৪টায় ফার্মগেট যুবলীগ চত্বরে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের প্রতিবাদ সমাবেশ। ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকা মহানগর ব্যতীত দেশের সকল বিভাগীয় শহরে প্রতিবাদ সভা। ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার, দেশের প্রতিটি উপজেলা-থানা ও পৌরসভায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল। ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দেশের প্রতিটি জেলায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল। ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঢাকা মহানগরে জাতীয় সংসদের আসনভিত্তিক এবং দেশের সকল মহানগরের প্রতিটি থানায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহা. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. মো. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ