উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশন আজ বসছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকাল সাড়ে ৪টায় অধিবেশন শুরু হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অধিবেশনের প্রথম দিন ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া অনুমোদন হয়েছে। ভাষণে সরকারের সাফল্যসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হবে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন সংসদ সদস্যরা। আলোচনা শেষে কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হবে। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল পাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া নিয়মিত প্রশ্নোত্তর পর্ব ও অন্যান্য কার্যক্রম থাকবে। অন্যান্য বছর এ অধিবেশনটি দীর্ঘ হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হবে। আগের অধিবেশনের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিচালনা হবে।
এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আহূত সংসদের বিশেষ অধিবেশনসহ গত ৪টি অধিবেশন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হয়। প্রতি কার্যদিবসে ৭০-৮০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। করোনা ঝুঁকি এড়াতে মাঝখানে বিরতি দিয়ে আসন বিন্যাস করা হয়। সংসদ অধিবেশন চলাকালে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি অধিবেশনে যোগদানের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যসহ অন্যদের করোনা নেগেটিভ নিশ্চিত করা হয়। জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী জানান, করোনা পরিস্থিতির আগামী অধিবেশনও ১২ থেকে ১৪ কার্যদিবস চলতে পারে। তিনি আরও জানান, অধিবেশনের প্রথম দিনে সাংবাদিকসহ স্বল্প সংখ্যক অতিথির উপস্থিতির সুযোগ রাখা হচ্ছে। অন্য দিনগুলোতে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকবে। সংসদ সদস্যরাও রোস্টার অনুযায়ী যোগদান করবেন এবং আলোচনায় অংশ নেবেন।
অধিবেশন উপলক্ষে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা : অধিবেশন নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোববার রাত ১২টা থেকে সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং যে কোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যেসব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কথা বলা হয়েছে সেই এলাকাগুলো হলো ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং হতে পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে বাংলামটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত হতে গ্রিন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় হতে ধানমণ্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নং সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল হতে পুরাতন ৯ম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত হতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এ সীমানার মধ্যে অবস্থিত সমুদয় রাস্তা ও গলিপথ। ১১তম জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
উত্তরণ বার্তা/এআর