শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০০:৪৮
ব্রেকিং নিউজ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের তরুণ প্রজন্মকে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে দেশের ৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, তরুণদের বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, রোবটিক্সসহ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা জরুরি। আজ শনিবার ‘ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ষষ্ঠ ডিআরএমসি- পেট্রোম্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল টেক কার্নিভাল-২০২৩’ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কলেজগুলোর মধ্যে সবার আগে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ইনোভেশন সেন্টার করার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই এই কলেজে তিনটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরেকটি স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এবার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি বিষয়ে হাতে-কলমে শেখাতে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের সঙ্গে চুক্তি করে এশিয়ায় জাপান ও ভারতের পর বাংলাদেশে একটি সেন্টার ফর ফোর আইআর স্থাপন করা হবে।কার্নিভালে অংশগ্রহণকারী উদ্ভাবনী প্রকল্প এবং প্রোগ্রামিং ও ওয়েবসাইট ডিসপ্লে¬, লাইন ফলোয়িং রোবটসহ নানা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের ক্লাব সমূহের প্রধান সমন্বয়ক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নূরুন্নবী, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক, কার্নিভালের আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন।এর আগে কার্নিভালের প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। টেক কার্নিভালে উপস্থাপিত প্রকল্পগুলো নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওয়ারলেস ইলেকট্রিসিটি প্রকল্পে এই তরুণ উদ্ভাবকেরা আজ আমার সামনে ২২০ ভোল্টেজের দুটি লাইট জ্বালিয়ে দেখালো। গুগল, ফেসবুক, চ্যাটজিপিটি শুধুমাত্র সিলিকনভ্যালি থেকে নয়, ২০৪১ সাল নাগাদ এই ইন্টারন্যাশনাল টেক কার্নিভালের উদ্ভাবকরা প্রযুক্তি বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। উল্রেখ্য, স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা এবং ২০৪১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়নে নবীনদের উৎসাহিত করতেই এই তিন দিনব্যাপী টেক কার্নিভাল এর আয়োজন করা হয়। এতে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK