রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৬:১০
ব্রেকিং নিউজ

সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা বেশি : শিক্ষামন্ত্রী

সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা বেশি  :  শিক্ষামন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, অনেকে বলে থাকেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান ভালো থাকে। সেখানে ভর্তির জন্য সবাই উদগ্রিব থাকেন। আমি আপনাদের ছোট একটি তথ্য দেই। ভর্তি বাণিজ্য, ভর্তি যুদ্ধ, সেগুলো দূর করার জন্য লটারিতে ভর্তির পদ্ধতি চালু করা হয়। এ বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০ আসনের জন্য আবেদন করেছে ২ লাখ ৭৬ হাজার।  আর সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৭ হাজার ৯০৭টি। আবেদন করেছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী। কয়েকটি হাতে গোনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেশসেরা মেধাবীদের নিয়ে নেয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাটা অনেক বেশি। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২’-এর দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশ অংশের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রাইভেটলি স্থাপন করা হয় এবং ম্যানেজ করা হয়। কিন্ত দেশের ৮০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়। দেশের বিশ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের আর্থিক সম্পৃক্ততা নেই। তবে, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, উপবৃত্তি  ও বই- সব কিছুই সরকার দিয়ে থাকে। মন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ২০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে প্রায় ১৭ হাজার। ননএমপিও আছে মাত্র ১ হাজার ৯১৪টি। গত তিন বছরে সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি) এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ২০৩১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বড় বিনিয়োগের একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোলাবরেশনে এ বছরের শেষ নাগাদ অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট কানেকশন দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলোপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ প্রতিবেদনের বাংলাদেশ ব্যাকগ্রাউন্ট স্টাডি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের এডুকেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মাইগ্রেশনের পরিচালক সাফি রহমান খান।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK