শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৭:১৮

প্রধানমন্ত্রীর জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে : ডিএমপি কমিশনার

প্রধানমন্ত্রীর জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে  : ডিএমপি কমিশনার

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনই ‘সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) খন্দকার গোলাম ফারুক। আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগের দিন ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২৪ ডিসেম্বর শনিবার আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগদান করবেন। সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী আসবে। ঝুঁকি বিবেচনায় সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জীবন সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, ইতোপূর্বে অনেকবার জীবননাশের চেষ্টা করা হয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এজন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।

নিরাপত্তার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সম্মেলনে নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট করেছি। এসবি, র‍্যাবসহ সবাই মিলে এ ভেন্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। প্রত্যেকটা গেটে আর্চওয়ে স্থাপন করা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। এছাড়া, আমাদের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে চারদিকে সুইপিং, ম্যানুয়াল সুইপিং, সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারে আমরা সে চেষ্টাই করেছি।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হুমকি আছে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কমিশনার বলেন, বিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছেন তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি রিস্কে। ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা বারবার তার জীবননাশের চেষ্টা করেছে।  অনেকগুলো প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে, ২১ আগস্ট, টুঙ্গিপাড়া। সেগুলোকে সামনে রেখে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুজব, সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার সিস্টেম আছে। আমাদের ডিবিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট, সিটিটিসিতে সাইবার ইউনিট আছে। অন্যান্য সংস্থারও সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার সিস্টেম আছে। মনিটর করে যাচ্ছি।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ২ জঙ্গি ছিনতাই, নতুন জঙ্গি সংগঠনের উত্থান, সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট আছে বলে মনে করি না। জঙ্গি ২ জন ছিনতাই হয়েছে এ ব্যাপারে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ওই জঙ্গিদের বেশ কয়েকজন সহযোগী এবং অন্য গ্রুপের কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি জঙ্গিদেরও আমরা নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আশা করি তাদের গ্রেফতার করতে পারবো।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ