রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৩:৫৩
ব্রেকিং নিউজ

বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনালেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এমপি

বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনালেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এমপি

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : নোয়াখালীতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতিকথা আর সাহসিকতার গল্প শোনালেন একাত্তরের রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এমপি। গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নোয়াখালী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি তুলে ধরলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে উত্তাল দিনগুলোর নানা কথা।
 
নোয়াখালী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ খালেদা খানমের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেনু চৌধুরী। স্বাগত বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নার্সিং ইন্সট্রাক্টর আকলিমা আক্তার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী এমপি বলেন, ‘১৯৬৫ সালে নোয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তির পর থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ি। ১৯৬৯ সালে ভর্তি হই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে থাকতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সহপাঠী হিসেবে পেয়েছি (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনাকে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনী প্রচারে ছাত্রলীগের কর্মী হিসবে সক্রিয় ছিলাম। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে নোয়াখালীর এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে নৌকার পক্ষে গণসংযোগ চালাইনি। তখন থেকেই যুদ্ধের জন্য মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয়। তখনই বুঝতে পারি, আন্দোলন-সংগ্রামের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা।’ 
 
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীর চর্চা কেন্দ্রে যুদ্ধের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছি।একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আমাদের প্রশিক্ষণ দেন। ১৫ জন নারী তাতে অংশগ্রহণ করেন। মার্চের উত্তাল দিনগুলোতেও আন্দোলনে সক্রিয়তার কারণে বাড়িতে না থেকে রোকেয়া হলে অবস্থান করি। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য রোকেয়া হল থেকে দল বেঁধে রেসকোর্সে ছুটে যাই। সে ভাষণ শুনে প্রতিটি মানুষের মতো আমরাও উজ্জীবিত হই। সেদিনে ভাষণে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু সকলের প্রতি আহবান জানান। ২৩ মার্চ পল্টন ময়দান থেকে মার্চপাস্ট করে আমরা বঙ্গবন্ধুর হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেই। 
 
তিনি আরও বলেন, ট্রেনিং শেষ করে মুক্তিযোদ্ধারা যখন বাংলাদেশে ঢুকতেন, তখন রাস্তার আশপাশের বাড়ির নারীরা দাঁড়িয়ে থাকতেন। চোখের জল মুছতেন অনেকে। প্রায় সবার হাতেই থাকত একটা পোটলা। তাতে কিছু না কিছু থাকতই। এগুলো তাঁরা গুজে দিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। এ দৃশ্য এখনো মনে পড়ছে। তিনি নাসিং পেশাকে মর্যাদা দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ৩য় শ্রেনী হতে ২য় শ্রেনীর কর্মকর্তার পদমর্যাদায় উন্নিত করার কথা উল্লেখ্য করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার জন্য সকলের দোয়া চান এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে সবাইকে আহবান জানান।
উত্তরণবার্তা/নাছির ধ্রুবতারা/নোয়াখালী

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ