কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল (১৪ডিসেম্বর) ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই-কমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিতি ছিলেন। ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ সকল বুদ্ধিজীবী এবং অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

 

এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ খবর জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, ওই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় হাইকমিশনার দিনটিকে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন হিসেবে অভিহিত করে বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালি জাতির নিশ্চিত বিজয় আঁচ করতে পেরে পাক হানাদারবাহিনী দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। 

 

তিনি বলেন, পাক হানাদারবাহিনীর দোসর ও স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আলবদর আলশামস বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বহু বুদ্ধিজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। ড. খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ যাতে আর কখনো মাথা তুলে দাঁঁড়াতে না পারে- সেটাই ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাকাÐের মূল লক্ষ্য। তিনি উল্ল্যেখ করেন, ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কানাডা সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

উত্তরণবার্তা/এসএ