রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০০:২৮
ব্রেকিং নিউজ

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমনের রহস্যজনক মৃত্যুতে আদালতে মামলা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমনের রহস্যজনক মৃত্যুতে আদালতে মামলা

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : বেসরকারি সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ মাহমুদ সুমনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বরসোমবার  ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালতে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন নিহতের বাবা আলী আকবর। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলায় সুমনের মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন পাওয়া মোহাম্মদ হৃদয় মিয়া (২২) ও রনি হোসেনকে (২৭) আসামি করা হয়েছে।বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আরিফ মাহমুদ সুমন চলতি বছরের ৯ জুন মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শয্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় তার সন্ধান পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মাথায় অপারেশন করা হয়৷

হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করতে যান আলী আকবর। পুলিশ মামলা না নিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সুমন আহত হয়েছে মর্মে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেয়। তবে, সেই জিডির তদন্তও হয়নি। চলতি বছরের ২৫ জুলাই ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মারা যান। মৃত্যুর পর লাশ ময়নাতদন্ত না করে বাদীর কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় পুলিশ। যেখানে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ময়নাতদন্ত করবে না মর্মে বাদীর কাছ থেকে চাপ দিয়ে লিখিত কপিতে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিলেও দীর্ঘদিন তদন্ত না করায় নিহতের বাবা আদালতে এই মামলা করলেন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, সুমনের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে নিহত সুমনের মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ বাদীকে ফেরত দেয়। তবে, বাদী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। সুমন বেসরকারি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করে খণ্ডকালীন একটি প্রজেক্টে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছিলেন। একই সঙ্গে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছিলেন। তার বাবা আলী আকবর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অফিস সহকারী পদে কর্মরত। সুমন পরিবারের সঙ্গে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার ঢাকা পলিটেকনিক স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন।

উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK