উত্তরণ বার্তা বিদেশ ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাস শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বুধবার। এদিন সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ৮৪৪ জনের। সেই সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যাও অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৮৩২ জন। দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুয়েলি এমকিজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সুস্থতার হার ৯২ শতাংশ থেকে নেমে ৮০.৮ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশটির ৯ প্রদেশের মধ্যে সবচেয়ে করোনার ভয়াল থাবায় আক্রান্ত হয়েছে হাইটেক (জোহানেসবার্গ) প্রদেশ, ওয়েস্টার্ন কেপ (কেপটাউন) প্রদেশ, ইস্টার্ন কেপ ও কোয়াজুলু নাটাল প্রদেশ।
জোহানেসবার্গে আক্রান্ত ৩১০২০৯ জন, মৃত্যু ৫৭৮১ জন। কোয়াজুলু নাটাল প্রদেশে আক্রান্ত ২৩০২৮৩ জন, মৃত্যু ৬৭৯৬ জন। কেপটাউনে আক্রান্ত ২২৭৬৫৪ জন, মৃত্যু ৩৭৬৮ জন এবং ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে আক্রান্ত ১৭৫৯৪১ জন এবং মৃত্যু ১০৮৮ জন। দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই চার প্রদেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এবং আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে। করোনার নতুন ভার্সন সার্স কভ-২ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ যেন দক্ষিণ আফ্রিকায় মহামারী আকার ধারণ করছে।
এদিকে গত সপ্তাহ থেকে সরকার করোনা মোকাবেলায় ১৪ দিনের লকডাউন দিলেও এর কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে করোনা মোকাবেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার হিমশিম খাচ্ছে বলে রিপোর্ট করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম। দেশের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর উপচেপড়া ভিড়ের কারণে হাসপাতালের বেড, অক্সিজেন ও আইসিইউ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাপোসা। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় বুধবার পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৪৯৫৯১ জন। মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৩৬৮ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ৯২৯২৩৯ জন।
উত্তরণ বার্তা/এআর