উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। আর তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হতে হয় এদেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ও পরিবহন শ্রমিকদের। তবে পরিবহন শ্রমিকদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না। ৩১ অক্টোবর সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা জেলা হালকা যানবাহন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমানের একটি মামলায় সাজার প্রতিবাদে এই সমাবেশ করা হয়। শাজাহান খান দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যু্দ্ধের কথা উল্ল্যেখ করে বলেন, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তেল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কিছু খাদ্যশস্য আমদানি করতে অর্থ বেশি লাগছে। ইউক্রেনে যেসব ফসল উৎপাদিত হতো সেগুলো বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাপী হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশে না। আর এই বিষয়কে নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কিসের আন্দোলন করেন আপনারা?
বিএনপির আন্দোলনে পরিবহন শ্রমিকদের ক্ষতি হলে তা প্রতিহতের কথা বলে শাজাহান খান বলেন, আগেও দেখেছি, গাড়ি ভেঙ্গে বা পুড়িয়ে, শ্রমিকদের আহত-নিহত করে মনে করেন আপনারা অনেক বড় কিছু করে ফেলেছেন। আমরা বলতে চাই, শ্রমিকদের গায়ে কোনো আঘাত, পরিবহন সেক্টরের ওপর কোনো আঘাত কঠোরভাবে প্রতিহতের জন্য শ্রমিক নেতারা প্রস্তুত আছেন। সমাবেশে বক্তারা ওয়ান ইলেভেনের সময়কার একটি মামলায় মোখলেছুর রহমানের সাজা হওয়ার বিষয়ে বলেন, ওই মামলায় মোখলেছুর রহমান ছিলেন চতুর্থ আসামি। প্রথম আসামি ছিলেন তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা, দ্বিতীয় আসামি ছিলেন বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। তাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে মোখলেছুর রহমানকে সাজা দেয়া হয়েছে। তিনি ন্যায়বিচার পায়নি। তারা মোখলেছুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
উত্তরণবার্তা/এআর