মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৪:০৬
ব্রেকিং নিউজ

পঁচাত্তরের পরের সরকারগুলো গণমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে : প্রধানমন্ত্রী

পঁচাত্তরের পরের সরকারগুলো গণমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে   :  প্রধানমন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : কৃষকদের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের  কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা গণমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো একে একে ধ্বংস করে দেয়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেগুলো আবার পুনর্গঠনে নজর দেয়। ’ ১৭ অক্টোবর সোমবার রাজধানীতে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণবভন থেকে ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবার ভেঙে গেলে জমিতে আইল দেওয়া হয়। জমির মাঝখানে বেশি আইল পড়লে জমি কমে যায়। এ জন্য বঙ্গবন্ধু যৌথ উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তাঁর (বঙ্গবন্ধুর) লক্ষ্য ছিল কৃষি বিপ্লব ঘটানো।  তিনি ধান গবেষণা, চাল গবেষণা ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলেন। ’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রথম পঞ্চবার্ষিকীতে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়, সেখানে ৫ শতাংশ উন্নয়ন যেন কৃষি খাতে হয় সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়। ’তিনি বলেন, ‘ পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয়ে চলে যাওয়ার আগে নগদ টকা ও গোলার ধান পুড়িয়ে দিয়ে যায়। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে জাতির পিতা একটি জায়গায় নিয়ে আসেন। ১৯৭৫ সালে দেশে প্রচুর ধান উৎপাদন হয়। ওই বছর ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। ’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতীর পিতার পর যারা সরকারে এসেছে, তাদের সবার লক্ষ্য ছিল আমদানি করা। তারা উৎপাদনের দিকে নজর দেয়নি। তারা গণমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো একে একে  ধ্বংস করে দেয়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এগুলো আবার পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়। ’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বন্যার সময় প্রতিবছর আওয়ামী লীগ সাহায্য দিত। আমরা খাদ্য উৎপাদন নিয়ে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিই। আমি সরকারে এসে দেখলাম তেলাপিয়া ও কার্প মাছের ওপর গবেষণা হতো। পরে আমি বললাম, যেন আমাদের দেশি মাছের সম্প্রসারণ নিয়েও গবেষণা হয়। ’ তিনি বলেন, ‘আমি বীজ উৎপাদন ও কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করি। সার কৃষকের ঘরে যাতে পৌঁছায় সেই পদক্ষেপ নিই। দুই কোটি কৃষক কৃষিকার্ড পেয়েছে, টাকা পেয়েছে। এভাবে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই। ’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কৃষকদের সার ও সেচের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করি। কৃষকদের জন্য তথ্য আদান প্রদানের ব্যবস্থা করি। ’ তিনি বলেন, ‘খরা ও লবণাক্ত সহিষ্ণু ধান যাতে পাওয়া যায়, সেই জন্য গবেষণা কর হয়।   প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতের চেষ্টা করছি। ’  
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK