শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৮:৪৬
ব্রেকিং নিউজ

লঞ্চ থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার : কোচিং শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

লঞ্চ থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার : কোচিং শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে পটুয়াখালীগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে পারুল আক্তার (১৬) নামের এক কিশোরীর গলা কাটা লাশ উদ্ধারের মামলায় আল-মামুন (২৭) নামের এক কোচিং শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২ অক্টোবর রোববার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান ভুইয়ার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। পারুল নিহতের সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গর্ভের সন্তানকে মেরে ফেলায় আদালত দণ্ডবিধির ৩১৬ ধারায় আসামিকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ২০ জুলাই ঈগল লঞ্চের ৩০৮ নম্বর কেবিন থেকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লঞ্চের কেবিনে থাকা নিহতের কোচিং শিক্ষক আল-মামুনকে (২১) আটক করা হয়। নিহত পারুলের বাবার নাম গেদা মিয়া। তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ছোট মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার দিন বিকেল ৪টার দিকে ৩০৮ নম্বর কেবিনের দরজার নিচ দিয়ে রক্ত দেখে কেবিন বয়ের সন্দেহ হলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে খাটের ওপর পারুলের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায়।অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল চন্দ্র জানিয়েছেন, মামলাটির বিচারকালে ১৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা পীর মো. পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন পারুল আক্তার। বাড়ির পাশে ব্রাইট পাবলিক একাডেমিতে কোচিং করার সময় শিক্ষক আল-মামুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন পারুল। ঘটনার দিন কাউকে কিছু না বলে বরগুনার উদ্দেশে ঈগল-৩ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩০৮ নাম্বার কেবিনে ওঠেন পারুল ও মামুন। সেখানে মামুন অভিযোগ করেন, পারুলের সঙ্গে অন্য একটি ছেলের সম্পর্ক আছে। পারুল তা অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মামুন তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে পারুলের গলা কাটে। পারুলের গলা থেকে রক্ত গড়িয়ে কেবিনের বাইরে এলে লঞ্চের অন্য লোকজন এসে মামুনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK