সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৯:৫৩
ব্রেকিং নিউজ

জাতীয় সমাজসেবা দিবস আজ

জাতীয় সমাজসেবা দিবস আজ

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : সেবার বিভিন্ন খাত থাকলেও সমাজসেবাই অন্যতম। সমাজের দুস্থ ও অসহায় মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যেই সমাজসেবার উদ্ভব। জাতীয় সমাজসেবা দিবস আজ। এবছর দিবসটি ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে, সেবা ও সুযোগ প্রান্তজনে’ এই স্লোগানে উদযাপিত হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সারাদেশে পালন করছে।
 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। তিনি দুস্থ ও অসহায় মানুষের উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। সে ধারা অক্ষুন্ন রেখে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের দুস্থ, দরিদ্র, অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত, পশ্চাৎপদ ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে নিরলস সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
 
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘১৯৭৪ সালে সুদমুক্ত ঋণকার্যক্রম প্রচলন করে বঙ্গবন্ধু দেশে এবং সমসাময়িক বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবন্ধী, অসহায় ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলতে সামাজিক সুরক্ষাভুক্ত বিভিন্ন ভাতার হার ও পরিধি অব্যাহতভাবে সম্প্রসারণ করছে।’ প্রকৃত দরিদ্ররা যাতে সরকারের এসব কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে পারেন, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি।
 
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সবসময়ই দেশের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে।’ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য ভাতার প্রচলন এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অধিক্ষেত্র, বরাদ্দ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শিশু (সংশোধন) আইন ২০১৮, মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮, প্রণয়ন করেছি।’
 
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার সরকার ভবঘুরে ও নিরাশ্রম ব্যক্তি (পুনর্বাসন) বিধিমালা ২০১৫, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা ২০১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা ২০১৫ এবং প্রতিবন্ধী বিষয়ক জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ২০১৯ প্রণয়ন করেছে।  হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘হিজড়ালিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।  এ ছাড়া সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালা ২০১৯, প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯ এবং শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা, ২০১৯ প্রণয়ন করেছে।’
 
সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন ধরনের অনুদান প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দরিদ্র, অসহায়, প্রতিবন্ধী ও গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে বিশেষ অনুদান এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়, নদীভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত পরিবার, বস্তিবাসী, চা-বাগান শ্রমিকসহ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে দেশের দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব আরো প্রশংসিত হবে।
উত্তরণ বার্তা/এআর
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ
আরও সংবাদ