উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। এ নিম্নচাপের ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় মোংলায় ৩০ মিলিমিটার, আর ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে দুবলার চর ও সুন্দরবন এলাকা। নিম্নচাপটি স্থলভাগ দিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী। তিনি জানান, এর প্রভাবে মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ সংলগ্ন সাগর ও সুন্দরবন উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ১৫ নটিক্যাল মাইল। এমন বৈরি আবহাওয়া সোম ও মঙ্গলবার বিরাজ করবে। বুধবার থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়া কর্মকর্তা। তবে, পূর্ণিমা ও নিম্নচাপের প্রভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হবে উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা। এদিকে, রাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে পৌর শহর ও উপজেলা বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিপাতে শহরে বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে, রাস্তাঘাটে লোকজনও নেই তেমন।
এদিকে, ভোর থেকে দুবলার চর এলাকায় বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সাগরে জোয়ার শুরু হওয়ায় পানির চাপও রয়েছে বেশি বলে জানিয়েছেন দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ মজুমদার।তিনি জানান, রোববার তিন ফুটের জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে দুবলাসহ পুরো সুন্দরবন। অস্বাভাবিক জোয়ারে সোমবারও তলিয়ে গেছে সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র। করমজলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, রোববার তিন ফুটের মত বেশি পানি হয়েছিলো। পানি আরও বাড়ছে, তাতে পুরো জোয়ারের সময় তিন থেকে চার ফুট পানি বেশি হওয়ার আশংকার কথা জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, খুব বেশি বাতাস না থাকায় বৃষ্টিতে মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণে খুব বেশি সমস্যা হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আ. ওয়াদুদ তরফদার।তিনি জানান, বৃষ্টিতে জাহাজের কাজ চলে থাকে, তবে বাতাস বেশি হলে তা ব্যাহত হয়। আর তিন নম্বর সংকেতে সাধারণত বন্দর অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিকই থাকে বলে জানান তিনি।
উত্তরণবার্তা/এআর