শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২১:৩৬

গোপালগঞ্জে ডিএপি সার ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করছে কৃষি বিভাগ

গোপালগঞ্জে ডিএপি সার ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করছে কৃষি বিভাগ

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : গোপালগঞ্জে চাষাবাদে ডিএপি সার ব্যবহারে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ সার ব্যবহারে টিএসপি ও ইউরিয়ার উপর চাপ কমে। চাষাবাদে কৃষকের সারের খরচ সাশ্রয় হয়। জমিতে ডিএপি ব্যবহারে কৃষকদের লাভ হয়। তাই গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায়ের নেতৃত্বে ডিএপি সার ব্যবহারে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করণ কার্যক্রম এ জেলায় চলমান রয়েছে। গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  উপপরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, ১ কেজি ডিএপি  সারের মধ্যে ১ কেজি টিএসপির সমান ফসফরাস  এবং ৪০০ গ্রাম ইউরিয়ার  সমান নাইট্রোজেন  রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ১ কেজি টিএসপি দাম ২২ টাকা নির্ধারণ করেছে। প্রতি কেজি  ডিএপি সার মাত্র ১৬ টাকা দরে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি কেজি সারে ৬ টাকা সাশ্রয় করে জমিতে টিএসপির পরিবর্তে ডিএপি সার ব্যবহারের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। জমিতে ১ কেজি ডিএপি সার ব্যবহার করলে ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া কম ব্যবহার করতে হবে। ইউরিয়া সারের দাম কেজি প্রতি ৬ টাকা  বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই তুলনামূলকভাবে কম দামের ডিএপি চাষাবাদে ব্যবহার করতে হবে। এতে ইউরিয়ার ব্যবহার ৪০ ভাগ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। ওই কর্মকর্তা কৃষকদের জন্য পরামর্শ দিয়ে বলেন, তুলনামূলকভাবে কম দামের ডিএপি সার ব্যবহার করে টিএসপি ও  ইউরিয়া ব্যবহার কমিয়ে অর্থ সাশ্রয় করতে হবে। এতে করে একদিকে যেমন সারের  খরচ বাঁচানো সম্ভব হবে, তেমনি গাছও  প্রয়ো জনীয়পুষ্টি  উপাদান পাবে। কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন, গোপালগঞ্জে ডিএপি সার ব্যবহারে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। এতে ফসল উৎপাদনে কৃষকের সাশ্রয় হচ্ছে। এছাড়া ফসল উৎপাদনে সারের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব হবচ্ছ। সারের ব্যবহার কমায় রাষ্ট্রের অনেক টাকা বেঁচে যাবচ্ছ।

কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি গ্রামের কৃষক তারপদ বিশ্বাস (৫৫) বলেন, ডিএপি সার সম্পর্কে আগে আমাদের স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। এখন কৃষি বিভাগ এ সার ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের্ ধারণা দিচ্ছেন। তারা এ সার ব্যবহারে আমাদের উদ্বুদ্ধ করছেন। ফসল চাষাবাদে ডিএপি সার ব্যবহার করে আমরা টিএসপি ও ইউরিয়া সারের ওপর চাপ কমাতে পারছি। এতে আমাদের সারের ব্যবহার কমেছে। সারের ব্যবহার কমিয়ে ফসল চাষে আমরা আরো লাভবান হচ্ছি। কৃষি বিভাগের এ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সার ডিলার কাজল বিশ্বাস বলেন, ডিএপি সার ব্যবহারে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগটি ভালো উদ্যোগ। এটি বাস্তবায়ন হলে ফসল উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় কমবে।  গোপালগঞ্জ কৃষি বিভাগের এ উদ্যোগটিকে প্রশংসা করা যায়।
উত্তরণবার্তা/এআর
 

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK