সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২১:৪৬
ব্রেকিং নিউজ

এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী ৬ বছর বাণিজ্য সুবিধা বহালের জন্য আবেদন করবে বাংলাদেশ

এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী ৬ বছর বাণিজ্য সুবিধা বহালের জন্য আবেদন করবে বাংলাদেশ

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তোরণের পরেও  পরবর্তী আরো ৬ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চাইতে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে, একটি রিভাইজড (সংশোধিত) প্রস্তাব পাঠাবে। সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দেওয়া হয়। এখন সেটার উপর ভিত্তি করে সংশোধনী আকারে আবারও প্রস্তাব পাঠানো হবে। শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দ্যা ইন্সটিটিউট অব চাটার্ড একাউন্টস্ অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের আউটকাম’ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ যেকোন এলডিসিভুক্ত দেশ এলডিসি উত্তোরণের পরও যেন আরো ৬ বছর বিদ্যমান বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করতে পারে, সেজন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। আমরা অন্যান্য এলডিসিকে এ বিষয়ে রাজি করাই। সম্মেলনে এই প্রস্তাব বাতিল করা হয়নি, আবার গৃহীতও হয়নি। তবে এ বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ রেখে একটি মধ্যবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মত স্বীকার করে নেওয়া হয় যে, এলডিসি উত্তীর্ণ দেশের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে এবং বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থায় সেই চ্যালেঞ্জ নিরসনে সহায়তা দেওয়া যেতে পারে। এই সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে আগের প্রস্তাবকে রিভাইজড করে আবার পাঠানো হবে।

গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরীফা খান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার, আইসিএবি সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) পরামর্শক মনজুর আহমেদ, গবেষণা সংস্থা বিল্ড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান,আইসিএবির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর এবং সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ বোস প্রমূখ রাখেন। হাফিজুর রহমান আরও বলেন, মেধাস্বত্ত্ব চুক্তি বা ট্রিপস এর আওতায় প্রাপ্য সুবিধা পেয়ে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প অনেক অগ্রসর হয়েছে। এখন ট্রিপস সুবিধা বহাল রাখার জন্য আলাদা আর একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন,ই-কমার্স আন্তর্জাতিক লেনদেনের ব্যাপারে দ্বাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যে ধরনের সিদ্ধান্ত এসেছে, তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে একটি বড় দ্বার উন্মোচন করবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ ঘটবে বাংলাদেশের ।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইআরডি সচিব শরীফা খান বলেন, এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, একইসাথে বেসরকারিখাতকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকারকে ব্যবসায় খরচ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুবিধা সম্প্রসারণ করতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারিখাতের উদ্যোক্তাদের নিজেকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগি সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে। বিল্ড সিইও ফেরদৌস আরা বেগম বেসরকারিখাতের জন্য সরকারের লজিস্টিক সহায়তা আরও বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। উল্লেখ্য, ডব্লিউটিও দ্বাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন গত ১২ থেক ১৬ জুৃন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংস্থাটির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK