উত্তরণবার্তা ডেস্ক : বিরিয়ানি প্রথম কোথায় তৈরি হয়েছিল এবং এর ইতিহাসটা কী? এটি এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণটা কী?আসুন তা জেনে নিই।
ধন্যবাদ। এটা সকলের মনের প্রশ্ন ছিল। কোথা থেকে আসলো বিরিয়ানী? কাচ্চির ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে জানা যায় বিরিয়ানীর মজার ইতিহাস। আরবে ও হিন্দুস্তানে মুসলিম শাষকগন যারপরনাই বিলাসি ছিলেন। মুহুর্তে মুহুর্তে তাদের স্বাদ পরিবর্তন হতো। সম্রাট হুমায়ুন যুদ্ধে যেতেন ১১ শত বাবুর্চী নিয়ে, সৈন্য সংখ্যা বলার অপেক্ষা রাখে না। মুঘলদের সময় বিরিয়ানী উপমহাদেশে ব্যাপক পরিচিতি পায়।
ফার্সী “বিরিয়ান” শব্দ যার অর্থ রান্নার আগে ভেজে নেয়া, বিরিয়ান শব্দ থেকে আজকের বিরিয়ানী। কাজাখস্হান, ইরান, তুরস্ক এসব দেশের কোন যায়গায় বিরিয়ানীর সৃস্টি হয়েছিল। তবে ভারত উপমহাদেশে আফগান হয়ে মুঘলদের সাথে বিরিয়ানীর প্রবেশ। মুলতঃ সৈন্যদের খাবার হিসাবে বিরিয়ানীর ব্যবহার শুরু হয়।
বিপুল সংখ্যক সৈন্য নিয়ে সম্রাটগন যখন যুদ্ধে বা খাজনা আদায়ে যেতেন, তখন সৈন্যদলের সাথে বাবুর্চীরা পর্যাপ্ত মশলা নিয়ে যেতেন। সম্রাট যে এলাকায় তাবু ফেলতেন ঐ এলাকার নবাব বা জমিদারের দায়িত্ব থাকতো চাল ও মাংসের যোগান দেয়া। সৈন্যদের জন্য আলাদা ভাত, রুটি, মাংস রান্না না করে একবারে মাংসসহ সুগন্ধি খাবার রান্না হতো, যা সৈন্যদল আগ্রহকরে গ্রহন করতো। সকালে ও সন্ধায় দু বেলা খাবার পরিবেশন করা হতো। বাবু্র্চীরা সারা দিন বা সারা রাত মাংস, মসলা, চাল ইত্যাদি তৈরী করে, কাঁচা অবস্হায় বড় বড় পাত্রে মিশিয়ে, মাটির গর্ত করে নির্দিষ্ট সময় মাটি চাপা দিয়ে রাখতো। ভূগর্ভের তাপমাত্রায় তৈরী হতো কাচ্চি বিরিয়ানী।
স্বাধ ও সুঘ্রানই বিরিয়ানীর জনপ্রিয়তার মূল কারন। বিরিয়ানীর কাছে দাড়িয়ে থাকলেও মন ভরে যায়। যে সব মানুষ পরিমিত খাবার খায়, তারাও বিরিয়ানী সামনে থাকলে “কন্ট্রোল নাহি হোতা”।যেমন প্রায় সকলেই।।
উত্তরণবার্তা/এআর