উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে নৌপথে ধীরে ধীরে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।ঈদের ছুটি উপলক্ষে যাত্রী হয়রানির তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বিআইডব্লিউটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা ও কঠোর মনিটরিংয়ের কারণে এমন নির্বিঘ্নে যাত্রা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার দেশের সবচেয়ে বড় নদীবন্দর সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ তেমন দেখা না গেলেও শুক্র এবং শনিবার যাত্রী চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন ওই কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সদরঘাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছেন কর্মমুখী মানুষ। ছুটি শেষ হলেও ধীরে ধীরে মানুষ আসছেন। নৌযানগুলোতে ছিল না তেমন কোনো ভিড়।
শুক্রবার ও শনিবার কিছুটা ভিড় দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ'র কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এবার ঈদে যাত্রী ব্যবস্থাপনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কোনো লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া কোনো লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতেও দেখা যায়নি। নির্ধারিত পরিমাণ যাত্রী নিয়েই প্রতিটি লঞ্চ গন্তব্যে চলাচল করছে। পদ্মা সেতুর প্রভাবে এবারের ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপও ছিল না। তাছাড়া লঞ্চগুলোতে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিতে বিআইডব্লিউটিএ'র আপ্রাণ প্রচেষ্টায় এবার ঈদে নির্বিঘ্নে আসা-যাওয়া করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন লঞ্চ যাত্রীরা।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী মো. হোসেন বলেন, বরিশাল থেকে গাড়িতে অল্প সময়ে ঢাকা আসতে পারলেও দীর্ঘদিন লঞ্চে চলাচলের অভ্যাস। তাছাড়া আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য লঞ্চে এসেছি। অন্যান্য বছরে তুলনায় এবার লঞ্চে তেমন একটা ভিড় ছিল না। খুব আরামে লঞ্চে যাতায়াত করতে পেরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। এ ধারা অব্যাহত রাখার দাবি জানান তিনি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, অনেকে বলছেন যে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে লঞ্চের যাত্রী পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা ঈদ উপলক্ষে দেখলাম যে, প্রচুর পরিমাণ যাত্রী হয়েছে এবং সর্বোচ্চ ১৫৮টি লঞ্চ চলাচল করেছে। তাছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর তৎপরতায় যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
উত্তরণবার্তা/এআর