রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৪:৪৪
ব্রেকিং নিউজ

কাদার সূত্র ধরে বেরিয়ে এলো জোড়া খুনের রহস্য

কাদার সূত্র ধরে বেরিয়ে এলো জোড়া খুনের রহস্য

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : ঘরের পাশে একটি সুপারি গাছ। সেই গাছে কোনও সুপারি নেই। তারপরও গাছে কেউ একজন উঠেছিল, লেগে আছে কাদা। এই কাদার সূত্র ধরেই বেরিয়ে এলো নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জোড়া খুনের রহস্য। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় মো. সাদিকুর নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ১১ জুলাই সোমবার সকালে ধানমন্ডির পিবিআই সদর দপ্তরে সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে আমরা কোনও সূত্র পাচ্ছিলাম না। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যে ঘর থেকে কাকলি ও তার ৮ বছরের ছেলে তালহার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় তার বাথরুমের ভেন্টিলেটরের পাশে একটি সুপারি গাছ আছে। সেই সুপারি গাছে কেউ উঠেছিল। সেখানে কাদা লাগানো ছিল। কিন্তু সুপারি গাছে সুপারি না থাকা সত্ত্বেও কেন গাছে উঠা হল? এই সন্দেহ হয় আমাদের। তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক সব কাহিনী।

পিবিআই প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সাদিকুর জোয়ার নেশায় আসক্ত এক যুবক। আইপিএলে জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে প্রতিবেশী ভাবি কাকলির কাছে টাকা ধার চাইতে যান সাদিকুর। ঘটনা দিন (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় ব্লেন্ডার নেয়ার অজুহাতে ঘরে ঢোকেন ওই যুবক। কিন্তু টাকা না পেয়ে স্বর্ণালংকার লুট করতে খুন করেন কাকলিকে। ঘটনা দেখে ফেলায় তালহাকেও সে হত্যা করে। ঘরে ঢুকে সাদিকুর প্রথমে ভাবি কাকলিকে চেয়ারে বসতে বলেন। তখন পেছন থেকে কাকলির গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ধরেন। কাকলি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পাশে থাকা আয়রন দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। কাকলির মাথা থেঁতলে যায়। মৃত্যু আরও নিশ্চিত করার জন্য পরে রান্নাঘরে থাকা বটি দিয়ে জবাই করে কাকলি ও তার সন্তানের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর আড়াইহাজারের শ্বশুর বাড়িতে ৮ বছরের সন্তান তালহাকে নিয়ে থাকতেন নিহত কাকলি। ৩ জুলাই সেই ঘরেই পাওয়া যায় মা ও ছেলের গলাকাটা মরদেহ। গ্রেপ্তারের পর সাদিকুর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK