হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেয়েকে হত্যা : গোপনে দাফনের চেষ্টা

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীর দক্ষিণখানে সালমা আক্তার (২৭) নামের এক তরুণীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন তার বাবা আব্দুল হাকিম। পরে মরদেহ গোপনে দাফন করার চেষ্টা করেন তিনি। আব্দুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৯ জুলাই শনিবার রাতে দক্ষিণখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য পেয়ে আব্দুল হাকিমকে হেফাজতে নিই। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মেয়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নিহতের স্বামী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’ পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৬ জুলাই রাতে দক্ষিণখান থানাধীন মোল্লারটেক এলাকার বাসায় সালমা তার মেয়েকে কলা খেতে বলেন।

মেয়ে খেতে না চাইলে সালমা তাকে থাপ্পড় মারেন। এতে আব্দুল হাকিম উত্তেজিত হয়ে হাতের কাছে থাকা হাতুড়ি দিয়ে সালমার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই রাতেই সালমাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। পরদিন গোপনে সালমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন হাকিম। পুলিশ ঘটনাটি জানতে পারে, এ ভয়ে সালমা সুস্থ না হওয়া সত্বেও তাকে গোপনে ঢামেক হাসপাতাল থেকে উত্তরার আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে যান হাকিম। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাতে সালমার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, নিজেকে বাঁচাতে মেয়ের মরদেহ গোপনে হাসপাতাল থেকে এনে কাউকে না জানিয়ে গোসল করান হাকিম। কাফনের কাপড় পরিয়ে জানাজাও পড়ান। হাকিম স্থানীয় কবরস্থানে সালমাকে দাফন করাতে গেলে স্থানীয়রা সন্দেহ করেন। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সালমার মরদেহ শনিবার (৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
উত্তরণবার্তা/এআর