উত্তরণবার্তা ডেস্ক : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সঙ্গে স্মার্ট ত্রিপুরা বিনির্মাণে একসঙ্গে নলেজ পার্টনার হিসাবে কাজ করবে বাংলাদেশ ভারত। ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগারতলায় হোটেল পোলো টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট ২০২২’ এ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও আগরতলা হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে এ আইটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ টু স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক এ সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র, কারা এবং অগ্নিনির্বাপণমন্ত্রী রামপ্রাসাদ পাল এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ত্রিপুরায় ২০ হেক্টর জায়গাজুড়ে যে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি করছে বাংলাদেশের আইসিটি শিল্পের উদ্যোক্তারা তাতে বিনিয়োগ করতে পারেন বলে আভাস দেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের যেহেতু একই রকম আবহাওয়া, পরিবেশ ও সংস্কৃতি রয়েছে তাই আমরা চাইলেই একসঙ্গে মিলে উদ্ভাবনী জাতি গঠনে স্মার্ট শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, পরিবেশ- এসব বিষয়ে নীতি প্রণয়ন করতে পারি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ই-মানেই ডিজিটাল। আর ডিজিটাল মানে করাপশন ফ্রি, কমিউনিকেশন ফাস্ট। তাই কোনো দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ডিজিটাইজেশন করতে হবে। তবে যারা এর বিরোধিতা করবে তারা হচ্ছে দুর্নীতিবাজ। কেননা যখন সবকিছু অনলাইন করা হয়, মাতব্বরি চলে যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ছাড়া উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া যাবে না। সেজন্য শপথ নেওয়ার পর তিনি বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন।
উত্তরণবার্তা/এআর