শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১১:১৮

শিক্ষার্থী-কিশোরী ধর্ষণ মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন

শিক্ষার্থী-কিশোরী ধর্ষণ মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীতে পৃথক দুই ঘটনায় ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ও আরেক কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- সাইফুল ইসলাম। ধর্ষণের দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে। আর অপহরণের দায়ে তাকে আরও ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

এছাড়া কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- সাদ্দাম হোসেন শুভ। তাকেও দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণা শেষে দুই আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মোকলেছুর রহমান সাজার বিষয়টি জানান। শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া আসার পথে ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেয় সাইফুল ইসলাম। ২০১৫ সালের ৫ জুন সাইফুল এবং তার মা কহিনুর ভিকটিমের বাসায় গিয়ে তাকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বাসায় থাকা ৩৭ হাজার টাকা ও ৩৮ হাজার টাকার স্বর্ণও তারা নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা ১০ জুন শাহআলী থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে সাইফুলকে অভিযুক্ত করে ওই বছরেরই ৩১ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শাহ আলী থানার সাব-ইন্সপেক্টর রবিন চন্দ্র মন্ডল। সাইফুলের মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে সাইফুলের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ৮ জন সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এদিকে কিশোরী ধর্ষণ মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘটনার চার বছর আগে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে সাদ্দাম হোসেন শুভর সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয়ের সূত্র ধরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাসায় কেউ না থাকায় ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শুভ ওই কিশোরীকে তার হাতিরপুলের বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এরপর আরও কয়েকদফা তাকে ধর্ষণ করে শুভ। ২৬ মার্চ থেকে তাকে এড়িয়ে চলে। শুভর ভাই সুমন ও বোন মোনিয়া ওই কিশোরীকে ফোনে বিভিন্ন হুমকি দেয়। এরপর ১৯ এপ্রিল শুভ ওই কিশোরীকে ঢাকা ছাড়ার হুমকি দেয়।এ ঘটনায় ওই কিশোরী ১ জুন শাহবাগ থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে শুভকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ। শুভর ভাই সুমন ও মোনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর শুভর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
উত্তরণবার্তা/এআর
 

  

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK