রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০০:০৯

রোজায় দাম বাড়বে না নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের : আশ্বাস ব্যবসায়ীদের

রোজায় দাম বাড়বে না নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের : আশ্বাস ব্যবসায়ীদের

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং সরবরাহও স্বাভাবিক রয়েছে। তাই রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন পণ্যের উৎপাদক ও সরবরাহাকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। শনিবার রাজধানীর  মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআই আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মজুদ, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ আশ্বাস দেন তারা। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি জানান, রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৪৬টি পণ্য সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে কি-না তা তদারকি করবে কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর, সরবরাহ পরিস্থিতি, উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজারদর সংগ্রহ ও পর্যালোচনা এবং সরেজমিনে বাজার পরিদর্শন করবে এই কমিটির সদস্যরা। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্ব আছে বলে মন্তব্য করেন সভাপতি। 
 
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে উৎসবকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম কমান।  বাংলাদেশেও এমন সংস্কৃতি তৈরির আহŸান জানান জসিম উদ্দিন। বিশ্ববাজারে বিভিন্ন কাঁচামাল ও পণ্যের দাম বেড়েছে জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি সরকারকে কর ও শুল্কহার সমন্বের দাবি জানান। তিনি বলেন, যেহেতু পণ্যের দাম ও শিপিং খরচ বেড়েছে, তাই শুল্ক ও করহার কমালেও সরকারের রাজস্বের ঘাটতি কমবে না, বরং সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়া যাবে।
 
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, কোভিড এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্যের দাম ও জাহাজ ভাড়া প্রতিনিয়ত বাড়ছে। দেশের উৎপাদন ও ব্যবসা বাণিজ্যের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। আমদানিকৃত পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের প্রাপ্ত ঋণসীমা উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যমান চলতি মূলধন ঋণ সীমা অন্তত ৪০ শতাংশ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এফবিসিসিআই চিঠি দিয়েছে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে আগামী ৩০ জুন, ২০২২ পর্যন্ত ঋণখেলাপী না করার আহŸান জানান জসীম উদ্দিন।
 
মতবিনিময়সভায় মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বশির উদ্দিন জানান, সরবরাহ ঠিক থাকলে বাজারে পণ্যমুল্য স্থিতিশীল থাকবে। একই আশ্বাস দেন বাংলাদেশ পাইকারি ভৌজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা। বাংলাদেশ অয়েল মিল এসোসিয়েশনের সভাপতি ও  সিটি গ্রæপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, সেলস অর্ডারের ১৫ দিনের মধ্যে তেল সরবরাহ করতে হয়। তাই মিল মালিকদের তেল মজুদ করে রাখার কোন সুযোগ নেই।
 
টিকে গ্রæপের পরিচালক সফিউল আতহার তাসলিম বলেন, গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীর বাজার কারসাজির কারণে গোটা ব্যবসায়ী সমাজকে দায় নিতে হচ্ছে। তবে রমজানে বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কোন শঙ্কা নেই। মিলমালিকদের কাছে পর্যাপ্ত তেল রয়েছে এবং বাজারেও কোন সরবরাহ ঘাটতি হবে না। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু ও সাবেক সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরণবার্তা/এসএ
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ