রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২৩:৫৪
ব্রেকিং নিউজ

পদ্মারতীরে ‘জয় বাংলা অ্যাভিনিউ’ হবে দেশের ৫টি পর্যটন কেন্দ্রের একটি : এনামুল হক শামীম

পদ্মারতীরে ‘জয় বাংলা অ্যাভিনিউ’ হবে দেশের ৫টি পর্যটন কেন্দ্রের একটি  :  এনামুল হক শামীম

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মারতীরে ৮ কিলোমিটার ‘জয় বাংলা অ্যাভিনিউ’ ওয়াকওয়ে হবে বাংলাদেশের অন্যতম ৫টি পর্যটন কেন্দ্রের একটি। তিনি শনিবার সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা দিবসে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পদ্মারতীরে সুরেশ্বর  থেকে  মোক্তারেরচর পর্যন্ত প্রায় ৮কিলোমিটার ওয়াকওয়ে ‘জয় বাংলা অ্যাভিনিউ’র উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল। এসময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ঢাকাস্থ নড়িয়া উপজেলা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লা হারুন পাশা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ফরিদপুর জোন আব্দুল হেকিম, নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদুজ্জামান, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান  খোকন, সুরেশ্বর দরবারের  মোতোয়াল্লি শাহ নূরে কামাল, বিভিন্ন ইউপি  চেয়ারম্যান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, ৫০ বছরের ভাঙ্গনকবলিত পদ্মারপাড়ে শুধু ওয়াকওয়েই নির্মাণ করা হয়নি, নদীর তীরকে সৌন্দর্যমন্ডিত করার জন্য লাগানো হয়েছে সোডিয়াম বাতি, ঝাউগাছ যা পর্যটককে আকৃষ্ট করবে।
 
প্রধান অতিথি এনামুল হক শামীম বলেন, আমি নিজেও নদীভাঙন এলাকার মানুষ। নদীভাঙনের শিকার মানুষের কষ্টটা আমি বুঝি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রত্যক্ষ নজরদারি ও সার্বিক সহযোগিতায় কারণেই দীর্ঘ ৫০ বছরের ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়েছে। আমি নড়িয়া-সখিপুর তথা শরীয়তপুরবাসীর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা মানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, শুধু আমার নির্বাচনী এলাকাই নয়, শরীয়তপুর জেলাসহ সারাদেশেই নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নদীর বুকে যেন আর  কোনো ঘরবাড়ি বিলীন না হয়, আমরা  সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। উল্লেখ্য,শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার তীর ঘেষে সর্বনাশা পদ্মার আগ্রাসী রূপ প্রায় শত বছরেরও বেশি সময়  থেকে দেখে আসছিল দুই তীরের সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি পরিবার। পদ্মার এই ভাঙ্গা-গড়ার উন্মত্ততায় তারা হারিয়েছে সহায় সম্মল। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পদ্মাপাড়ে বাঁধ তৈরি হওয়ায় গত দুই বছরে একটি বাড়িও ভাঙেনি।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK