সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৭:৫৯
ব্রেকিং নিউজ

শিক্ষার মান না বাড়লে জাতীয়করণ নয় : দীপু মনি

শিক্ষার মান না বাড়লে জাতীয়করণ নয়   : দীপু মনি

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আগের জাতীয়করণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বাড়লে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে সবটুকু সক্ষমতা নিয়োগ করবে সরকার। আর যদি জাতীয়করণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান না বাড়ে সেক্ষেত্রে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা উচিত নয়। ১৮ মার্চ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।  
 
শিক্ষা জাতীয়করণে শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত বড় সিদ্ধান্ত। এটি সঠিক হবে কিনা সেটা বোঝা জরুরি। আমরা চাই শিক্ষার মান অর্জন করতে। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা কী বলে? আমরা যে জাতীয়করণ করেছি সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান কি আরো বেড়েছে, নাকি কমেছে। এটা আগে বুঝতে হবে। মনে হয়— একটি ভালো গবেষণা আমরা করতে পারি। যেসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে সেখানে শিক্ষার মান যদি বাড়ে, তাহলে সবগুলোই জাতীয়করণ করবো। যদি মান বাড়ে তাহলে জাতীয়করণ অবশ্যই চাইবো। জাতীয়করণে সরকারের যতটুকু সামর্থ্য আছে সবটুকু নিয়োগ করবে। যদি দেখা যায় জাতীয়করণ করে মান বাড়েনি, তাহলে নিশ্চয় মান বাড়বে না আমরা এমন কাজ করতে চাইবো না।
 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাশিপ সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাশিপের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু। বৈশাখী ভাতার দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আপনাদের এই ভাতাগুলো আরো বাড়ুক। আমরা দু’জনে (মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী) নিশ্চয়তা দিতে পারি, এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। আর বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতার বিষয়েও বলবো। আর্থিক সক্ষমতার একটি ব্যাপার রয়েছে, সেটিও দেখতে হবে।
 
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম। বেশিরভাগই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কাজেই এখানে সরকারের বাজেট কতখানি লাগবে, কতখানি বাড়াতে হবে; সরকারের সক্ষমতার সঙ্গে সেটি সাযুজ্যপূর্ণ কি-না, এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে। স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরিতে প্রধান শিক্ষকের স্কেল ভিন্ন হয়ে গেছে বলেছেন, সেটি আমরা দেখবো। শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজেদের দক্ষ করে তোলেন। আমি আশা করবো, সবাই প্রশিক্ষণে উদ্যোগী হবেন। যেখানে সুযোগ পাবেন, সব প্রশিক্ষণ নিয়ে নেবেন। এখন তো অনলাইন, অফ লাইন দুইভাবে প্রশিক্ষণ হচ্ছে। অনলাইনে নিজেদের দক্ষ করে তুলবেন।
 
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন এখনও বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন- দক্ষ, প্রায়োগিক ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা। সেটা আমরা এখনও করে উঠতে পারিনি। আমরা মনে করি, শিক্ষা অর্জন করলে গাড়িঘোড়া চলবে। গাড়িঘোড়া চলাটা সফলতা নয়। গাড়িঘোড়া বানানো সফলতা। ‘বঙ্গবন্ধু পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন। চলমান মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হয়ে গেলে ধীরে ধীরে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হবে। তবে শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলো কিন্তু যে উদ্দেশে হলো, সেই সফলতা আসলো না তাহলে হবে না। সেজন্য প্রশিক্ষণ দিতে হবে শিক্ষকদের।’ উপমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা জাতীয়করণের ক্ষেত্রে আর্থিক বিষয়ে নিশ্চয়তা সরকার দেবে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকরা করবে।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK