সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৮:২৪
ব্রেকিং নিউজ

‘পঁচাত্তর পরবর্তী কোনো সরকারই ভাষা গবেষণায় গুরুত্ব দেয়নি’

‘পঁচাত্তর পরবর্তী কোনো সরকারই ভাষা গবেষণায় গুরুত্ব দেয়নি’

উত্তরণবার্তা  প্রতিবেদক : ১৯৭৫ সাল পরবর্তী কোনো সরকারই ভাষাবিষয়ক গবেষণায় গুরুত্ব দেয়নি, অভিযোগ করে এ বিষয়টিকে জাতির জন্য দুঃখজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গবেষণা ছাড়া অগ্রগতি করা যাবে না, বিষয়টি অনুধাবন করে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ দেয় বলেও দাবি করেন তিনি। ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার  ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তৃতাকালে এ দাবি করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য—পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা ভাষা বা গবেষণা কোনো ব্যাপারেই গুরুত্ব দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞানের চর্চা বা গবেষণা ছাড়া এগোনো যায় না। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, আমি লক্ষ করি—গবেষণার জন্য বাজেটে অতিরিক্ত কোনো বরাদ্দ ছিল না। আলাদাভাবে যে ফান্ড দরকার, সেটি কিন্তু ছিল না। ওই মেয়াদে তৎকালীন সরকার ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখে।’

‘গবেষণায় জোর দেওয়ার কারণে দেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি, বিজ্ঞানেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি’, বলেন প্রধানমন্ত্রী। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাঙালি জাতির গৌরবময় এই দিনে বিশ্বের সব ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে ভাষা আন্দোলনে তার অবদানের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৪৮ সালে আইন বিভাগের ছাত্র থাকা অবস্থায় যখনই পাকিস্তানি শাসকরা বাংলা ভাষার বদলে উর্দু ভাষা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তখনই তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন এবং ভাষার জন্য সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৪৮ সালে ১১ মার্চ ধর্মঘট ডাকা হয়। সে ধর্মঘটে তিনি গ্রেপ্তার হন  এবং ১৫ মার্চ মুক্তি পান। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তিনি বহুবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেছেন। কারাগারেও তিনি বসে থাকেননি। ভাষা আন্দোলন সফল করতে যোগাযোগ করেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন। পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ