রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২১:৫৮
ব্রেকিং নিউজ

কৃষকের হাতে পাট বীজ সত্তা সংরক্ষণে কাজ করছে শরীয়তপুর কৃষি বিভাগ

কৃষকের হাতে পাট বীজ সত্তা সংরক্ষণে কাজ করছে শরীয়তপুর কৃষি বিভাগ

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে কৃষকের হাতে পাট বীজ সত্তা সংরক্ষণে কাজ করছে শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বাংলাদেশের পাট আবাদের সময় কৃষকদেরকে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ বীজ আমদানী নির্ভর। যে কারণে অনেক সময় মান সম্মত বীজের অভাবে উৎপাদন আশানুরুপ পাওয়া যায় না বলে বলছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। তাই পাটের বীজ সত্তা কৃষকের হাতে রাখতে ও মান সম্মত বীজ নিশ্চিতসহ আমদানী নির্ভরতা কমাতে কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি অধিদপ্তর আধুনিক ও উন্নত মানের ধান,গম-পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প এবং প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় নাবী পাট বীজ উৎপাদন কর্মসূিচ বাস্তবায়ন করছে।
 
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: আব্দুস সাত্তার জানান, শরীয়তপুরে প্রতি বছর দুই হাজার ৭’শ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়। এর জন্য আমাদের প্রায় ২১৬ মেট্রিক টন পাট বীজের প্রয়োজন হয়। আর এর অধিকাংশই আমদানী নির্ভর। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমদানীকৃত বীজের সঠিক মান নিশ্চিত না হওয়ায় কৃষকরা উৎপাদন ঘাটতিতে পড়েন। এ সংকট দূও করতে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার উন্নত মানের পাট বীজ উৎপাদনের মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এতে করে কৃষকের হাতে বীজ সত্তা সংরক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি মানও নিশ্চিত হয়। কৃষকের নিজের হাতে বীজ থাকলে সঠিক সময় পাট আবাদ করতে পারলে বাড়বে উৎপাদনও। জেলায় এ বছর ৩৬ হেক্টর জমিতে কৃষক উন্নত মানের নাবী পাট বীজ উৎপাদন করছেন। আমরা আশা করছি ৩৬ হেক্টর থেকে আমরা ১৮ মেট্রিক  টন বীজ উৎপাদন করতে পারব। যা চাহিদার ১৬ শতাংশ পূরণ করবে। আমরা আশা করছি এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে আমাদের পাট বীজের চাহিদার অনেকটাই নিজেদের বীজে পূরণ হওয়ার পাশাপাশি কমবে আমদানী নির্ভরতা। যা আমাদের কৃষিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।  
 
জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের কৃষক মো: আবুল হোসেন বলেন, অনেক সময় আমদানী করা প্যাকেট বীজ দিয়ে পাট আবাদ করে আমরা কাংখিত ফলন পাই না। আমরা যদি ভালো মানের বীজ উৎপাদন করতে পারি, তা হলে সঠিক সময়ে ভাল বীজ বপন করে ফলনও পাব ভালো। একই উপজেলার বিকেনগর ইউনিয়নের কৃষক আবুল মোল্লা বলেন, অনেক সময় আমরা বাইরের বীজ দিয়ে পাট আবাদ করলে ঠিক মতো গজায় না। আবার যে জাতের পাট আবাদ করি তাও ঠিক থাকে না। গত দুই বছর যাবত আমরা কৃষি বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া বীজ দিয়ে তাদের পরামর্শে উন্নত মানের বীজ উৎপাদন করে আবাদ করে ভালো ফলন পাচ্ছি। এতে করে নিজেও আবাদ করতে পারছি এবং অন্য কৃষক ভাইকেও দিতে পারছি। এতে করে আমরা সঠিক সময়ে পাট আবাদ করতে এবং পারছি বীজ সত্তাও আমাদের হাতে থাকল।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK