রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৯:১৯
ব্রেকিং নিউজ

পাবেলের ভাগ্য বদলে দিয়েছে নার্সারি

পাবেলের ভাগ্য বদলে দিয়েছে  নার্সারি

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : জেলার মাঈন উদ্দীন পাবেল, নার্সারি তার ভাগ্য বদলে দিয়েছে। গড়ে তোলেন ভিক্টোরিয়া এগ্রো এন্ড নার্সারি। ২৭০ টি গাছ দিয়ে শুরু করা বাগানে এখন রয়েছে ১৩৫ জাতের প্রায় আড়াই হাজার গাছ। সংগ্রহে রয়েছে ব্যতিক্রম কিছু ফল ও কাঠ গাছ। ১৫ হাজার টাকা দিয়ে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করে ১৬ মাসে ১০ লক্ষ টাকার মালিক। বড় বাগান তৈরি করে খ্যাতি অর্জন করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও সেনাবাহিনীর আঙ্গিনায়। জানা যায, মাঈন উদ্দীন পাবেল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কিছু পেয়ারা, সুপারি, বরুই, লেবু, মাল্টা, কমলার চারা দিয়ে ভিক্টোরিয়া এগ্রো এন্ড নার্সারি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ১৩৫ জাতের দেশি বিদেশি আড়াই হাজার ফলের চারা রয়েছে। এর মধ্যে আপেল, ন্যাসপাতি, মালোশিয়ান ব্ল্যাক বেরি, অস্টেলিয়ান চেরি, এব্যকেটু, থাই ডুড়িয়ান, পারসিমন, রাম্বুটান, ত্বীনফল,  ভিয়েতনাম লাল কাঁঠাল, শে^ত চন্দন, আগর, থাই লঙ্গান, রুবি, লঙ্গান, পিং কাঁঠাল, নারিকেল এ নার্সারির ব্যতিক্রম সংগ্রহ। বিক্রির শীর্ষে রয়েছে হাইব্রিড খাটো জাতের সুপারি, মায়ানমার সুপারি, থাই লাল শরিফা, থাই ড্রাগন, থাই পেয়ারাসহ ১৩৫ জাতের গাছ।
 
ভিক্টোরিয়া এগ্রো এন্ড নার্সারির স্বত্বাধিকারী মো. মাঈন উদ্দীন পাবেল বলেন, প্রথম করোনার সময় কিছু দিন অনলাইনে পণ্য বিক্রি করেছি। পরে ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক কাজী আপন তিবরানী ম্যাডামের পরামর্শে ভিক্টোরিয়া এগ্রো এন্ড নার্সারি নামে ফেসবুক পেজ খুলে ব্যবসা শুরু করি। প্রথমে ম্যাডামের গ্রুপে পোস্ট করতাম। শুধু অনলাইন ক্রেতাদের নিয়ে কাজ ছিলো। এখন অনলাইন থেকে অফলাইনে ক্রেতা বেশি। ফুল, ফল, বৃক্ষের পাশাপাশি জৈব সার, রেডিমিস্ক সার নিয়ে কাজ করি। বাসা, বাড়ি ও অফিসে বাগান চুক্তিভিত্তিক তৈরি করে থাকি। বাসা-বাড়ি, বাড়ির ছাদ, ভিক্টোরিয়া কলেজ ডিগ্রি শাখার বাগানের কাজ করেছি ও কুমিল্লা সেনানিবাসের বাগানের কাজ চলমান আছে। এ বিষয়ে আমি সরকরি ভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। ই-কমার্স গ্রুপ ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স (ভিই) ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা কাজী আপন তিবরানী বলেন, ভিই গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পরপরই বিভিন্ন  পণ্যসহ নার্সারি আইটেম নিয়ে কাজ শুরু করি। মাঈন উদ্দীন পাবেল এর আগ্রহ দেখে আমি বললাম তুমি সবুজকে নিয়ে থাকো। 
 
ভিক্টোরিয়া এগ্রো এন্ড নার্সারির লগোর সাথে যুক্ত হলো প্রতি নিঃশ্বাসেই ফ্রেশ আক্সিজেন কথাটি। ইতোমধ্যে সে ভালো কিছু কাজ করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে তার আর পিছে ফিরে তাকাতে হবে না। ইতোমধ্যে সে ৭/৮জন মানুষের কর্মের ব্যবস্থা করেছে। ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়ার পাশাপাশি কর্মের দিকে ঝুঁকছে, সেটা আমাদের জন্য আনন্দের। সনদ অর্জনের পর আর বেকার বসে থাকতে হবে না। তারাই কর্মসংস্থান তৈরি করে দিবে। আমাদের ছাত্ররা এখানে যে বাগান করেছে, তা খুবই সুন্দর হয়েছে। হর্টিকালচার সেন্টার কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, অনেক তরুণ উদ্যোক্তা আছেন। যারা মাঠ পর্যায়ে ভালো কাজ করেন। মাঈন উদ্দীন পাবেল তাদেরই একজন। মাঈন উদ্দীন পাবেল আমাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও তাকে বীজ, চারা সংগ্রহসহ আমরা বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
উত্তরণবার্তা/এআর 
 
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK