শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৩:২৮

বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই আমরা মন্ত্রী-এমপি-মেয়র হতে পেরেছি : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই আমরা মন্ত্রী-এমপি-মেয়র হতে পেরেছি  : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন রাস্তা যেন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই আজকে আমরা এদেশে মন্ত্রী-এমপি -মেয়র নির্বাচিত হতে পেরেছি। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সব জায়গায় সম্মান দেয়ার অনুরোধ জানান। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার দেওভোগের মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেলা পরিষদের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার দেশে যে কাজ করছে তা সারাবিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটি মহল এসবের বিরুদ্ধে অসম্ভবভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। কিভাবে এই সরকারকে ছোট করা যায়, সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা যায়, সেই চেষ্টা করছে। আমাদের সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।’

আইভী বলেন, ‘২০২৩ সালে শেখ হাসিনাকে পুনরায় আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেনো এই ষড়যন্ত্রকে ছিন্ন করে আমরা এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবো। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের এ সরকারকে আবারও প্রয়োজন। এটার জন্য আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন সেখানে থেকে আমরা সরকারের ভালো কাজগুলো তুলে ধরবো।’ তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আপনাদের সাথে আমার একটা আত্মীক সম্পর্ক আছে, একটা হৃদয়ের বন্ধন আছে।’ মেয়র বলেন, ‘এই সরকার স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি। এই সরকার আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এমন কোনো সেক্টর নাই যেখানে কম-বেশি উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সেটা নারীর ক্ষমতা থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ প্রচুর কাজ করা হচ্ছে।

কিন্তু আমাদের প্রচারটা একটু কম বলে আমরা অনেক সময় বলি যে, সরকার কী করছে? সরকার বহু কিছু করেছে। সেগুলো তুলে ধরতে হবে। সরকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে তাদের কবর বাঁধাই করছে।’ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এমন আয়োজন করায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে ধন্যবাদ জানান তিনি । জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা প্রমুখ। এই সময় জেলার ১৬১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্বরূপ ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ