শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৫:৪২

একজন মানুষও যেন টিকাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত না হয় : প্রধানমন্ত্রী

একজন মানুষও যেন টিকাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত না হয়  : প্রধানমন্ত্রী

উত্তরণবার্তা  ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের সুস্থতা এবং একজন মানুষও যেন টিকাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত না হয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৩১ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে ১৩ কোটিরও বেশি টিকা দেয়া হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ছাড়াও বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। ৯ জানুয়ারি রোববার দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ক্যান্সারের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো অনেকে ভয় পান, শরীরে সুঁই ফোটাবে সেই ভয়ও আছে, নানা ধরনের অপপ্রচারও ছিল। সারা বিশ্বের মতো দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ রোধে নিয়মিত টিকাদানের পাশাপাশি বর্তমানে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলতে জনগণকে অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে শিশুদের ঝুঁকি বেশি। তাই ১২ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে আরও কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।
 
সরকারপ্রধান বলেন, এদেশের মানুষের জন্য শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর স্বাধীনতার পর একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব তিনি নিয়েছিলেন। সেই অবস্থাতেও তিনি স্বাস্থ্যসেবাটা যেন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছায়, সে ব্যবস্থা নেন। তিনি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, প্রতি ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হবে এবং সেভাবে তিনি প্রায় ৩৭৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করে চিকিৎসা সেব জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর থেকেই আমরা পদক্ষেপ নিই, কীভাবে এদেশের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থসেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। সেটা চিন্তা করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগা নিয়েছলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করে দেওয়ার পেছনে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, যদি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু থাকে, তবে ওই অঞ্চলের সব মানুষ নৌকায় ভোট দেবে। অর্থাৎ তাদের কাছে রাজনৈতিক স্পৃহাটাই বড় ছিল, মানুষের সেবাটা না! যাই হোক, পরে আমরা সরকারে এসে আবার তা চালু করেছি।
 
ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কেন এত ক্যান্সার হচ্ছে? এজন্য চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণাও করতে হবে। দেশে বোনমেরু ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‌‘এ দেশের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। এ দেশের মানুষ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে। দেশের প্রতিটি মানুষ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা সেবা পাবে। এ বিষয়ে আমরা অনেকদূর অগ্রসর হয়েছি। মানুষকে ঘর করে দিচ্ছি। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছি। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি’।
উত্তরণবার্তা/এআর
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ