শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৭:১৮

হার্ড ইমিউনিটি'ই কি ধার কমাচ্ছে করোনার?

হার্ড ইমিউনিটি'ই কি ধার কমাচ্ছে করোনার?

কিছু বিজ্ঞানীর বক্তব্য, ৪৩ শতাংশ সংক্রামিত হলেই হার্ড ইমিউনিটি পাওয়া সম্ভব। আবার অনেকে বলছেন, তা-ও দরকার হয় না। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট মোতাবেক, ২০ শতাংশ সংক্রামিত হলেও হার্ড ইমিউনিটি পাওয়া যায়। ইউরোপের বিভিন্ন শহরে তা-ই নাকি দেখা গিয়েছে।
 
ব্রাজিলের মানাউস শহরটির উপরে করোনার থাবা বেশ জাঁকিয়ে বসেছিল। কিন্তু 'ওয়াশিংটন পোস্টে'র একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেখানে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার কমতে শুরু করেছে নিজে থেকেই। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই শহরটি কিন্তু লকডাউনের রাস্তায় হাঁটেনি। এমনকী করোনা রুখতে মাস্ক পরার যে মৌলিক নিয়মটি রয়েছে, সেটুকুও মানেননি অনেক নাগরিক।
 
এই অবস্থায় করোনা কী আকার ধারণ করতে পারত, তা অক্লেশে অনুমান করা যায়। অথচ, পরিসংখ্যান চমকে দেওয়ার মতো। গত মে-তে ১,৩০০-র বেশি কোভিড আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এই সংখ্যাটাই অগস্টে নেমে এসেছে ৩০০-র আশপাশে। ইতালির মিলান বা আমেরিকার নিউ ইয়র্কেও এই ট্রেন্ড চোখে পড়েছে।
 
মানাউসের জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নজরেও পড়েছে। শহরের ২০ শতাংশেরও কম এলাকায় এখন কোভিডের সংক্রমণ রয়েছে এবং এই হ্রাসের নেপথ্যে 'হার্ড ইমিউনিটি' রয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, হার্ড ইমিউনিটি পেতে গেলে একটি নির্দিষ্ট এলাকার অন্তত ৭০ শতাংশ লোককে সংক্রামিত হতে হবে।
 
তবে অনেকেই বলছেন, এই হিসেব সর্বদা কার্যকর না-ও হতে পারে। কেননা, সকলে এই ভাইরাসে সমান ভাবে আক্রান্ত হবেন, তা নয়। যাঁরা ইতিমধ্যেই সংক্রমণ ছড়িয়েছেন এবং সংক্রামিত হয়েছেন, তাঁরা ভাইরাসের জ্বালা সয়ে ফেলেছেন। ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা এমনিতেই ক্রমশ কমতে থাকার কথা। এখনও এই ভাইরাস রয়েছে। তবে তার দাপট কিন্তু ধীরে ধীরে কোথাও কমছে, কোথাও কমবে।
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK