বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৫:১৮
ব্রেকিং নিউজ

নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে নয়া ধারা সৃষ্টির এখনই সময়: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে নয়া ধারা সৃষ্টির এখনই সময়: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী  মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল যুগের শিক্ষায় নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে নতুন ধারা সৃষ্টির এখনই সময়।  মোস্তাফা জব্বার রোববার রাতে রাজধানীর এক হোটেলে বিডি সায়েন্স টেকনলজি ও ম্যাথ ফাউন্ডেশন (স্টেম) আয়োজিত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ‘আমাদের তরুণরা খুবই মেধাবি’- এ কথা উল্লেখ তিনি আরো বলেন, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দেশের শতকরা ৬৫ ভাগেরও বেশি তরুণ এই জনগোষ্ঠীই হচ্ছে মূল শক্তি। মন্ত্রী নতুন ধারার ডিজিটাল শিক্ষা পাঠক্রম পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এই লক্ষে তিনি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রি ও ট্রেডবডির বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্যোগ গ্রহণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসারও  আহ্বান জানিয়েছেন।
 
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (বুয়েট)র উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সাবেক উপাচার্যবৃন্দ, গবেষক ও অধ্যাপকরা বক্তৃতা  করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী কারিগরি শিক্ষা বিস্তারে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, অতীতের দু'টি শিল্প বিপ্লব মিস করে, বাংলাদেশ প্রযুক্তি দুনিয়া থেকে ৩২৪ বছর  পিছিয়ে থাকে। তিনি জানান, ১৯৬৯ সালে শুরু হওয়া তৃতীয় শিল্প বিপ্লব বা ইন্টারনেট শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক আইটিইউ ও ইউপিইউ’র সদস্য পদ অর্জন, বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, কারিগরি শিক্ষা স্প্রসারণ কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণের ভিত্তি তৈরি করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৃতীয়  শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণের অভিযাত্রা স্থবির হয়ে পড়ে। 
 
মন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২১ বছরের পশ্চাদপদতাসহ পরাজিত শক্তির রেখে যাওয়া উন্নয়ন বিরোধী সকল অপপ্রয়াস অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে বঙ্গবন্ধুর তৈরি করা ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে মোবাইল, ইন্টারনেট ও কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে যুগান্তকারি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের আন্দোলনের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বারএ সময় একথাও জানান, উল্লেখিত ধারাবাহিকতায় গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বের সক্ষমতা অর্জন করেছে।
 
‘আমাদের আর্থ - সামাজিক প্রেক্ষাপটে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে উন্নত দুনিয়া যেভাবে দেখছে আমাদেরকে তা সেভাবে দেখলে চলবে না’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত বিশ্বে ডিজিটাল প্রযুক্তি মানুষের স্থলাভিষিক্ত হবে। আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর বিবেচনায় যন্ত্রকে মানুষের স্থলাভিষিক্ত করার ধারণাটি গ্রহণযোগ্য হবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিপ্লবের মধ্য দিয়েই আমাদের চতুর্থ  শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।’  সভাপতির বক্তৃতায় বুয়েটের ভিসি ডিজিটাল প্রযুক্তিকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর গুরুত্ব প্রদান করেন। বক্তব্যপর্ব শেষে টেলিযোগাযোগামন্ত্রী প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ অনুষ্ঠানের পরে, মন্ত্রী ঢাকায় আইসিএমএবি‘র ডিজিটাল সিপিডি প্লাটফর্মের উদ্বোধন করেন।  এ সময় তিনি বলেন, ডিজিটাল-প্রযুক্তি বিকাশে যে কোন সহায়তা প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর।
উত্তরণবার্তা/এসএ
 
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ