বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৫:৫০
ব্রেকিং নিউজ

কূটনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য দুজন পেলেন ‘বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদক’

কূটনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য দুজন পেলেন ‘বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদক’

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : কূটনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদক-২০২০’ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম এবং ঢাকা থেকে সদ্য বিদায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সাইদ মোহাম্মদ আল মেহরি। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রথমবারের মতো এ পদক দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
 
পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শান্তিকামী কূটনৈতিক দর্শনকে পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে বিশ্বের সব শান্তিকামী মানুষ ও কূটনীতিকদের উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদক প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি জানান, এ পদক দেওয়ার জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের পর তার সম্মতিসাপেক্ষে দুজন বিজয়ীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ, সুনীল অর্থনীতি উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মো. খুরশেদ আলমকে বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদকের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত মামলায় বাংলাদেশের ডেপুটি এজেন্ট হিসেবে আদালতে সমদূরত্ব নীতির পরিবর্তে ন্যায্যতার নীতি প্রতিষ্ঠার পক্ষে তিনি প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। তাছাড়া, তার নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে জরিপ করে বাংলাদেশ ২০১১ সালে UNCLOS নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই মহীসোপান সংক্রান্ত দাবি উত্থাপন করে। তিনি বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির উন্নয়ন কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এছাড়া, তিনি ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক সি-বেড অথরিটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
 
অপর পদক বিজয়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সাইদ মোহাম্মদ আল মেহরি বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক স্বার্থ সুরক্ষায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ পদকের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমশক্তি রপ্তানি পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তাছাড়া, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সংযুক্ত আমিরাতের বিনিয়োগ বিষয়ে একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
উত্তরণবার্তা/এসএ
 
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ