শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২২:৪৬

যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যা : স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যা : স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

উত্তরণবার্তা  প্রতিবেদক : রাজধানীর হাজারীবাগে যৌতুকের জন্য স্ত্রী রাম দুলারীকে হত্যার দায়ে স্বামী কৃষান দাসকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ১২ ডিসেম্বর রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম শামসুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় কৃষান দাসকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে মৃত্যু পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া কৃষান দাসকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। যা আসামির নিজস্ব সম্পত্তি হতে আইনের বিধানমতে আদায়যোগ্য হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, কৃষান দাসের বাবা লালু দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

জানা যায়,  কৃষান দাসের সঙ্গে ২০১১ সালে রাম দুলারীর (২৫) বিবাহ হয়। বিয়ের সময় নগদ ৭ লাখ টাকা খরচ করে আসামি পক্ষের যৌতুকের দাবি পূরণ করে ভিকটিমের পরিবার। বিয়ের পর থেকে স্বামী কৃষান দাস এবং তার আত্মীয়-স্বজন তাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। তারা ঘর উঠানোর জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। বোনের সুখের কথা চিন্তা করে ভিকটিমের ভাই কৃষ্ণ দাস এক লাখ আশি হাজার টাকা দেন। আরও যৌতুকের দাবিতে আসামি ও তার পিতা লালু দাস ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মারধর করে রাম দুলারীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাম দুলারীকে ওই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে আসামির মামা জিতেন দাস কৃষ্ণ দাসকে ফোন করে জানায় যে, তার বোন মারা গেছে। কৃষ্ণ দাস ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বোনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সে সময় নিহতের বাম কান দিয়ে রক্ত বেরর হতে, বাম কানের ভিতর আঘাতের চিহ্ন, কানের পাশে গালে ফুলা আঘাত দেখেন। কৃষ্ণ দাস অভিযোগ করেন, আসামিরা যৌতুকের জন্য বোনকে হত্যা করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।  

ওই ঘটনায় নিহতের ভাই কৃষ্ণ দাস ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কৃষান দাস ও তার বাবার বিরুদ্ধে একটি একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই কৃষান দাস ও তার বাবার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার পুলিশের তৎকালীন এসআই ওমর ফারুক খান। একই বছর ১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। পরে মামলার বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ