শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২০:৫২

মিথিলা-তাহসান-ফারিয়ার বিরুদ্ধে গ্রাহকের মামলা

মিথিলা-তাহসান-ফারিয়ার বিরুদ্ধে গ্রাহকের মামলা

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক গ্রাহক। গত ৪ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিনেত্রী রাফিয়াদ রশিদ মিথিলা, সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খান ও অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াসহ নয় জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাছরিন এবং দুই নম্বর আসামি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল। অন্য আসামিরা হচ্ছেন- ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট আকাশ, ইভ্যালির প্রধান বিপনন কর্মকর্তা আরিফ আর হোসাইন, ক্যাটাগরি হেড মোহাম্মদ আবু তাহের সাদ্দাম, এক্সিকিউটিভ অপারেশন (বাইক) মো. আবু তায়েশ। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাৎকৃত টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা। যা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মামলার বাদী সাদ স্যাম রহমান ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ইভ্যালিতে বাইক অর্ডার করেছিলাম। দীর্ঘ চেষ্টায়ও বাইক পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে মামলা করেছি। তাহসানের মত একজন মানুষকে ট্রাস্ট করেছি। এর বাইরে যারা আছেন তারাও ইভ্যালির গুনগান গেয়েছেন। তাদের দেখে আশান্বিত হয়েছিলাম। ভেবেছি এরা থাকলে কোম্পানি প্রতারণা করবে না। তাই তিন লাখ ১৮ হাজার টাকার বাইক অর্ডার করেছি। সাত মাস আগে অর্ডার করেছি, এখন পর্যন্ত পাইনি। কতদিন এভাবে অপেক্ষা করবো।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রাজিব হাসান বলেন, উক্ত মামলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা যায়, আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে গায়ক তাহসান খান শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত ছিলেন। আর রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ‘ইভ্যালি’র ‘ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল’ হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়াও প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন শবনম ফারিয়া।

তবে ইভ্যালির বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে গত জুনে বড় অঙ্কের বেতনে যোগ দেওয়া শবনম ফারিয়ার বেতনের অধিকাংশ বকেয়া। অন্যদিকে ১০ মার্চ ইভ্যালির ‘ফেইস অব ইভ্যালি’ ঘোষণা করা হয় তাহসানকে। তিনি শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পরের মাস থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও গ্রাহকের পণ্য সময়মতো পৌঁছে না দিতে পারায় তোপের মুখে পড়ে। সবদিক বিবেচনা করে মে মাসের মাঝামাঝি সময় প্রতিষ্ঠানটি থেকে স্বেচ্ছায় সরে যান তাহসান। একই পথে হাঁটেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
উত্তরণবার্তা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ