উত্তরণবার্তা ডেস্ক : ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতক এসেছিল এই চট্টগ্রামের মাটিতেই। অথচ স্মৃতিময় ভেন্যুতে লিখা হাহাকারের একাধিক শোকগাথা। যেখানে শতকের সলিল সমাধি হয়েছে বারবার। একেকটি শতক না পাওয়া আক্ষেপে হৃদয় ভেঙেছে বারবার। ফাহিম আশরাফ দিনের প্রথম ওভার করতে এসে পেয়ে গেলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উইকেট। মুশফিকুর রহিমকে ফেরালেন উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করিয়ে। মুশফিক আরো একবার শতক বঞ্চিত হলেন চট্টগ্রামের মাটিতে। ৯১ রানে কাটা পড়ল তার দ্যুতিময় ইনিংস। ভারতের বিপক্ষে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ১০১ রান করেছিলেন মুশফিক। সেটি ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতক।
দুই মাস পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে আসল ৯৫ রান। ভেন্যু এই চট্টগ্রাম। ২০১৩ সালে আবারও মুশফিক নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার। হারারেতে ৯৩ রানে শেষ মুশফিকের ইনিংস। ছয় বছর পর চট্টগ্রামে আবার হৃদয় ভাঙে মুশফিকের। এবার প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। মুশফিক আউট ৯২ রানে। সবশেষ সংযোজন পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯১।
আউট হওয়া বলটা নিয়ে কিছুটা আলোচনা হচ্ছে। ফাহিম আশরাফের বলে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেছিলেন মুশফিক। বল তার ব্যাটের চুমু খেয়ে যায় উইকেটের পেছনে। দুইটি রিভিউ থাকায় মুশফিক রিভিউ নিতে সংকোচবোধ করেননি। তাতে ফল পাল্টেনি। কিন্তু কেন রিভিউ নিলেন সেটাই প্রশ্ন। বল ব্যাটে লাগলে সবার আগে নিশ্চিত জানেন কিন্তু ব্যাটসম্যান। আম্পায়ার, প্রতিপক্ষ সবাই নিশ্চিত হল। শুধুমাত্র মুশফিকই অনিশ্চিত!
সাদা পোশাকে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার এখন মুশফিক। চারবার আউট হয়েছেন নব্বইয়ের ঘরে। শতকের দ্বারপ্রান্তে এসে সাকিব ও তামিমের হৃদয় ভেঙেছে তিনবার। সাকিব একবার নটআউট থেকেছেন ৯৬ রানে।এছাড়া হাবিবুল বাশার, লিটন দাশ ও নাসির হোসেন দুইবার নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার। মোহাম্মদ আশরাফুল ও শাহরিয়ার নাফিস আউট হয়েছেন একবার করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি নার্ভাস নাইটিজ হয়েছেনও মুশফিক। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৮ ইনিংসে নার্ভাস নাইন্টিজ হয়েছেন তিনি।এছাড়া সাকিব ৭ ও তামিম ৬ ইনিংসে নব্বইয়ের ঘরে আর সেঞ্চুরি পাননি।
উত্তরণবার্তা/এআর