বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৩:২৩

রাজধানীতে ২০২২ সালের পর উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য থাকবে না: মেয়র তাপস

রাজধানীতে ২০২২ সালের পর উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য থাকবে না: মেয়র তাপস

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : ২০২২ সালের পর ঢাকা শহরে যত্রতত্র, উন্মুক্ত স্থানে আর বর্জ্য থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দক্ষিণ সিটির ৬৩ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
 
মেয়র বলেন, ‘আজ  ৫৩ নম্বর ও ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করলাম। এর মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৪২টি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। তিনি বলেন, ‘এ বছরের মধ্যে ৭৫টি ওয়ার্ডেই বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।  ৭৫টি ওয়ার্ডেই বর্জ্য সেবা সংগ্রহকারী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছি। তাদের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করে সেগুলো অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে নিয়ে আসবো। সেখান থেকে আমরা মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে বর্জ্য স্থানান্তর করবো। সুতরাং, ২০২২ সালের পর ঢাকা শহরের উন্মুক্ত স্থানে আর বর্জ্য থাকবে না।’
 
যত্রতত্র বর্জ্য পড়ে থাকার ফলে বাসযোগ্যতার তালিকায় ঢাকা শহর একেবারে নিম্ন সারিতে অবস্থান করছে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘বাসযোগ্যতার ভিত্তিতে শহরগুলোর যে তালিকা প্রণয়ন করা হয় সেখানে দেখা যায়, ঢাকা সর্বনিম্নে অবস্থান করে। এর একটি অন্যতম কারণ হলো— ঢাকা শহরের যেখানে-সেখানে, রাস্তার ওপরে, নর্দমার ভেতরে-বাইরে, খালে-বিলে সব জায়গায় বর্জ্য উপচে পড়ছে। যত্রতত্র উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পড়ে থাকে। সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক একটি করে অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমাদের ৭৫টি ওয়ার্ডেই এই কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। অনেকগুলো ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
 
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমাদের ব্যাপক কার্যক্রমের ফলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর হার একেবারে নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মাত্র ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ছিল। কিন্তু আমরা দেখছি, ঢাকার অন্যান্য এলাকাসহ আশপাশের এলাকা ও অন্যান্য জেলায় ডেঙ্গু রোগীর বিস্তার বেড়েছে। এতে দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেলেও দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়াও আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে কিউলেক্স মশার বিস্তার রোধে আমরা কার্যক্রম শুরু করবো।’
 
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈমসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।উত্তরণবার্তা/এসএ
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK