বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২০:১৭

গরিবের ঘরে এরা হাত দেয় কিভাবে : আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর ভেঙ্গে দেয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী

গরিবের ঘরে এরা হাত দেয় কিভাবে : আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর ভেঙ্গে দেয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে গৃহহীনদের বিনামূল্যে দেয়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে মিডিয়াতে অপপ্রচারের অভিযোগ করে বলেছেন, গরিবের ঘরে এরা হাত দেয় কিভাবে? তিনি বলেন, তদন্তে এসব কাজে জড়িতদের নাম বেরিয়ে এসেছে এবং পুরো রিপোর্টটাই তাঁর কাছে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার ভাষণে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র অসহায় জনগোষ্ঠীর সম্পদ ধ্বংসকারী কতিপয় মানুষের মনবৃত্তিকে ‘জঘন্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, ‘সব থেকে দুর্ভাগ্যের হলো আমরা যখন ঠিক করলাম যে, প্রত্যেকটা মানুষকে ঘর করে দেব আমি কয়েকটা জায়গায় দেখলাম যে ঘর ভেঙ্গে পড়ছে, বিভিন্ন জায়গার এমন ছবি দেখার পর সার্ভে করালাম কোথায় কি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড় লাখ ঘর আমরা বিভিন্ন এলাকায় তৈরী করে দিয়েছি। ৩শ’টি ঘর কিছু মানুষ বিভিন্ন এলাকার থেকে গিয়ে হাতুড়ি শাবল দিয়ে সেগুলো ভেঙ্গে তারপরে মিডিয়ায় ছবি তুলেছে। এদের নাম-ধাম তদন্ত করে সব বের করা হয়ে গেছে। আমার কাছে পুরো রিপোর্টটা আছে।’ প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘গরিবের জন্য ঘর করে দিচ্ছি, সেই ঘরগুলো এভাবে যে ভাঙ্গতে পারে, ছবিগুলো দেখলে দেখা যায়। আর যেসব মিডিয়া এগুলো ধারণ করে আবার প্রচার করে সেটা কিভাবে হলো (ঘর ভাঙ্গলো) সেটা কিন্তু তারা (প্রচার) করছে না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক জায়গায় যেমন ৬শ’ ঘর করা হয়েছে সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাতে মাটি ধ্বসে কয়েকটা ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর ৯টা জায়গায় আমরা পেয়েছিলাম যেখানে কিছুটা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটা মাত্র ৯টা জায়গায়, কিন্তু অন্যত্র আমি দেখেছি যে, প্রত্যেকেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, তাঁর সরকারের ইউএনও এবং ডিসিদেরসহ সরকারি কর্মচারিদের ওপর এগুলোর তদারকির দায়িত্ব ছিল। যাদের অনেকেই এগিয়ে এসেছেন এই ঘর তৈরীতে সহযোগিতা করার জন্য। অনেক অল্প পয়সায় ইট সরবরাহ করেছেন। এভাবে সবার সহযোগিতা এবং আন্তরিকতাটাই বেশি। কিন্তু এরমধ্যে দুষ্ট বুদ্ধির কিছু (অসাধু চক্র) এবং সেটাই সবথেকে কষ্টকর। শেখ হাসিনা বলেন, যখন এটা গরিবের ঘর তখন এখানে হাত দেয় কিভাবে। যাহোক আমরা সেগুলো মোকাবেলা করেছি তবে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এ ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকা দরকার। এ ধরনের ঘটনা দেখা বা জানার পরে স্থানীয় যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সরজমিনে গিয়ে নিজেরাও তদারকরি করছেন এবং তাঁকে ছবি পাঠাচ্ছেন এবং সেভাবে কাজ করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উত্তরণবার্তা/এআর
 

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ