প্রভোস্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলবে ঢাবি

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য শর্তসাপেক্ষে আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে যে সিদ্ধান্ত প্রভোস্ট কমিটির সভায় নেয়া হয়েছিলো, সে রোডম্যাপ অনুযায়ী খোলা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে কোনো প্রভাব পড়বে না বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আমরা একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিলাম। সে রোডম্যাপ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলা হবে। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না।এর আগে গত ২৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে একটি রোডম্যাপ বিবেচনায় নেয়া হয়। পরের দিন ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ওই রোডম্যাপের সাথে একাত্মতা পোষণ করা হয়।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর এবং মধ্য নভেম্বরে ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের জন্য হল খুলে দেয়া হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা কার্যক্রম শেষ হলে এবং শিক্ষার্থীরা শতভাগ টিকা গ্রহণ করলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের জন্য হল খুলে দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে তিনটি শর্ত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো করোনা পরিস্থিতির উন্নতি, সংক্রমণের হার কমে যাওয়া। পরবর্তীতে মধ্য নভেম্বর থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়া হবে।

 

রোডম্যাপের ঘোষণার বিষয়ে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল বাছির জানান, অধিকাংশ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন নিয়ে থাকলেও সেটার সঠিক তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে নেই। অনেক শিক্ষার্থী তাদের তথ্য জানালেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখনও তথ্য প্রদান করেনি। সেই অনুযায়ী সিংহভাগ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেও তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসা সাপেক্ষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি, সংক্রমণের হার কমা সাপেক্ষে অক্টোবরের স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, চলতি বছরের ১৫ নভেম্বরের মধ্যে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এই সময়কালে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম যথারীতি অনলাইনে চলমান থাকবে। মধ্য নভেম্বরের পর থেকে বাকী শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়া হবে।

উত্তরণবার্তা/এআর