উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, ধর্মের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে যদি মিথ্যা ও বানোয়াট তথা জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারী দলের সদস্য মমতা হেনা লাভলী। মমতা হেনা লাভলী তার প্রশ্নে দেশের যে সকল ধর্মীয় বক্তা নিজ স্বার্থে ধর্মের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য জনসম্মুখে উপস্থাপন করলে তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান।
জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, ধর্ম ও ধর্মীয় মূল্যবোধের যথাযথ পতিপালন নিশ্চিতকরণে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত নাগরিকদের মাঝে ইসলামের আলোকে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রভৃতি পেশাজীবী শ্রেণিকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন সময় সভা-সেমিনার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও জুমার প্রাক খুতবায় উক্ত বিষয়ে আলোচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল খতিবকে অনুরোধ করা হয়।
একই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থ বছরে প্রত্যেক সংসদ সদস্যের জন্য মসজিদ সংস্কার বাবদ আড়াই লক্ষ টাকা ও মন্দির সংস্কারে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আর সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য প্রতি মসজিদ সংস্কারে দেড় লক্ষ ও মন্দির সংস্কারে ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে ওই বরাদ্দ ছাড় করা হয়।
উত্তরণবার্তা/সাব্বির