জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চান পরশ

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : ১৫ আগস্টের হত‌্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে দাবি করে তার মরণোত্তর বিচার চেয়েছেন ওই ঘটনায় নিজের মা-বাবাকে হারানো যুবলীগের চেয়ারম‌্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। ১৩ আগস্ট শুক্রবার রাজধানীর পল্টন ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান তিনি। শেখ পরশ বলেন, ‘বাঙালির মুক্তির মহানয়ক স্বাধীনতার সংগ্রাম শেষে যখন ক্ষত-বিক্ষত অবস্থা থেকে দেশটির পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তির নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তখনই ঘটানো হয়েছিল ইতিহাসের নির্মম এ জঘণ্য হত্যাযজ্ঞ। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খুনি জিয়ার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই আমরা খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘‘এই নরপিশাচ কুচক্রী মহল কারা; আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তা জানতে হবে। এই নরপিশাচ কুচক্রী মহল হলো- ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি, যারা পাকিস্তানি ভাবধারায় পোষণ করতো। রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনী। বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হোক তা তারা মেনে নিতে পারেনি। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে যেসব রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন মেনে নিতে পারেনি। দক্ষিণ এশিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত জাতীয়তাবাদী নেতার উত্থান ও বিশ্বনেতা হয়ে ওঠা তারা মেনে নিতে পারেনি।

‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এই দুই মিলেই কুচক্রী মহল। এই পরাজিত শক্তি এখনও সমগ্র বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্য সজাগ রয়েছে। এদের থেকে, এদের চিন্তাধারা থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে সজাগ থাকতে হবে।” বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান বলেন, ‘করোনার এই মহা সংকটে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় করোনার শুরু থেকে যুবলীগ সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি দুর্যোগে যুবলীগ সবসময় মানুষের পাশে ছিলো এবং থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামাত সব সময়ে সমালোচনায় ব্যস্ত। করোনার এই মহা সংকটে অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সমালোচনায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এটাই বিএনপি-জামাতের চরিত্র।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি আহম্মদ উল্লাহ মধু, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামানসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
উত্তরণবার্তা/এআর