শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৪:৩৮
ব্রেকিং নিউজ

‘বঙ্গবন্ধু জলে-স্থলে-আকাশে দেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চেয়েছিলেন’

‘বঙ্গবন্ধু জলে-স্থলে-আকাশে দেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চেয়েছিলেন’

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবনের ওপর আলোচনা করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জলে-স্থলে-আকাশে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চেয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আরাধ্য কাজ সম্পন্ন করছেন।’

সোমবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবনের ওপর আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সংসদ পরিচালনার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ছিলেন খুবই আন্তরিক। তিনি কার্যপ্রণালী বিধি মেনে আলোচনা করতেন এবং অন্যরাও যাতে তা মেনে চলেন, সেজন‌্য শক্ত হাতে হাউজ চালানোর ব্যাপারে স্পিকারকে অনুরোধ জানাতেন।’

তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্টে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে স্পিকার বিব্রত হতেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু হতেন না। উদার না হলে, গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন না হলে, এটা ভাবাই যেত না। ১৯৭৩ সালে পার্লামেন্টে আতাউর রহমান খান, এমএন লারমাসহ বিরোধী দলের কয়েকজন এমপি ছিলেন। তখনও দেখেছি, তারা কথা বলতে চাইলেই সুযোগ পেতেন। প্রায় সময়ই বঙ্গবন্ধু স্পিকারকে বলে সে সুযোগ করে দিতেন। বিরোধী দলের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আলাদা একটা মনোযোগ ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছিল। রাজনৈতিক মতাদর্শের যত অমিলই থাকুক না কেন, বঙ্গবন্ধু কখনো বিরোধী দলের নেতাদের কটাক্ষ করে কিছু বলতেন না, বরং তাদেরকে যথাযথ সম্মান দিয়ে কথা বলতেন। রাজনৈতিক শিষ্টাচার তার একটি বৈশিষ্ট্য ছিল।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল—দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত, দুর্নীতি ও শোষণহীন সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ। জাতির পিতার দর্শন ছিল—বাংলার মানুষের মুক্তি। সেই মুক্তি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি। তিনি কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়নে ভবিষ্যত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। পরিকল্পিত উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধু আধুনিক রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন, যা দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (১৯৭৩-১৯৭৮) প্রতিফলিত হয়েছিল। তার সুযোগ্য উত্তরাধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে এমডিজির অধিকাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘অল্প সময়ে ও পরিসরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তার জীবন ও কর্মের বিস্তৃতি এতটাই বিশাল যে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এমনকি দিনের পর দিন আলোচনা করলেও তা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে।’

উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ