শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৮:০৯

পায়রা নদীর ওপর দৃশ্যমান লেবুখালী-পায়রা সেতু

পায়রা নদীর ওপর দৃশ্যমান লেবুখালী-পায়রা সেতু

উত্তরণবার্তা ডেস্ক : দেশি-বিদেশি যৌথ বিনিয়োগে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে পায়রা-লেবুখালী সেতু। পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, পায়রা সমুদ্র বন্দর, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকার সঙ্গে সারাদেশের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এ অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের লাইফ লাইনে পরিণত হচ্ছে লেবুখালী-পায়রা সেতু। এরই মধ্যে মূল সেতু দুই পাড়ে সংযুক্ত হয়েছে। এখন চলছে নদীশাসনসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম। সব কিছু ঠিক থাকলে এ বছরের অক্টোবরেই সেতুটি সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
 
বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা নদীর ওপর ২০১৬ সালে লেবুখালী-পায়রা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন’র নির্মাণকাজ সম্পন্ন করছে। ১৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রস্থের ব্রিজটি ক্যাবল দিয়ে দুপাশে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে নদীর মাঝখানে একটি মাত্র পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ব্রিজের পর এটি দেশের দ্বিতীয়তম, যা এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল সিস্টেমে তৈরি করা।
 
কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে মূল ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। গত ৩১ মার্চ দুই পাড় সংযুক্ত করা হয়। খরস্রোতা পায়রা নদীর দক্ষিণ প্রান্তে ব্রিজের দুপাশে নদীশাসনের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদীশাসনের কাজ এরই মধ্যে ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার পর বাকি ২০ শতাংশ নদীশাসনের কাজ করা হবে।
 
লেবুখালী-পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, ‘বর্তমানে ব্রিজের এপ্রোচ সড়ক, টোল প্লাজা এবং প্রশাসনিক ভবন নির্মাণকাজ চলছে। এ ছাড়া ব্রিজের ইলেকট্রিক পোলগুলো স্থাপনের কাজও চলমান। আশা করছি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পুরো ব্রিজের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে পারব। পাশাপাশি ঠিকাদারের সঙ্গে মূল ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ১১৭০ কোটি টাকা ধরে চুক্তি করা হলেও ধারণা করছি ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা কম খরচ হবে।’ ব্রিজটি নির্মিত হলে ঢাকা-পটুয়াখালী সড়কে পদ্মা ছাড়া আর কোনো ফেরি পারাপারের ভোগান্তি থাকবে না। ফলে এই এলাকার সঙ্গে সারাদেশের সড়কে যোগাযোগে নতুন এক দিগন্তের সূচনা ঘটবে।
উত্তরণবার্তা/সাব্বির

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK