উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বৈদ্যুতিক পণ্য ও হালকা প্রকৌশল শিল্প মুন্সীগঞ্জে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকায় বিশেষায়িত এ শিল্পনগরী নির্মাণ চলছে এখন পুরোদমে। এখন মাত্র ১৭ শতাংশ কাজ বাকিই। বিসিক বলছে, আগামী বছরের জুনের মধ্যই শিল্প মালিকদের কাছে প্লট হস্তান্তর শুরু হবে। এখানে অন্তত সাড়ে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
মুন্সীগঞ্জের বেতকার ইছামতী নদীর তীরে চলছে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার জন্য প্লট তৈরির কাজ। সব প্লটের সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে প্রশস্ত রাস্তা। ড্রেন-কালভার্ট ছাড়াও হচ্ছে প্রশাসনিক ভবন।হাইভোল্টের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎব্যবস্থাসহ আধুনিক সব সুবিধাই থাকছে এসব স্থাপনাতে। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের সঙ্গে নৌ এবং উন্নত সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ছাড়াও এই প্রকল্প থেকে রাজধানীর দূরত্ব মাত্র ২০ মিনিটের। তাই রাজধানীর নবাবপুরে ও ধোলাই খালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বৈদ্যুতিক পণ্য ও হালকা প্রকৌশল কারখানাগুলো সরিয়ে আনতেই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।
এখানেই তৈরি হবে বিশ্বমানের বৈদ্যুতিক ফিটিংসসহ ফ্যান, লাইট, গাড়ির যন্ত্রাংশসহ নানা পণ্য। শিল্পনগরীটি চালুর আগেই বদলে যেতে শুরু করেছে এলাকার চেহারা। সৃষ্টি হয়েছে বহু মানুষের কর্মসংস্থান বলেন আইবিসিইএলের ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম। প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ৩০৯ কোটি টাকা। নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও নির্ধারিত সময় আগামী বছরের জুনের মধ্যেই প্লটগুলো শিল্প মালিকদের মধ্যে হস্তান্তর শুরু হবে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ বলে জানান বিসিকের টেকনিকাল অফিসার লস্কর নাজিব আহসান। মুন্সীগঞ্জ বিসিক বৈদ্যুতিক পণ্য ও হালকা প্রকৌশল শিল্প নগরী প্রকল্প পরিচালক আব্দুল জলিল তালুকদার বলেন, ৬, ১০, ১২ ও ১৪ শতাংশ করে চার রকমের প্লট এখানে তৈরি করা হচ্ছে।
উত্তরণবার্তা/সাব্বির