রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৮:০২
ব্রেকিং নিউজ

৫ বার প্রস্তাবে মন গলে জিলের

৫ বার প্রস্তাবে মন গলে জিলের

উত্তরণ বার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের সঙ্গে ফার্স্টলেডি জিল জ্যাকবসের পরিচয় হয় ১৯৭৫ সালে। এর ৩ বছর আগে ১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় বাইডেনের প্রথম স্ত্রী নেইলিয়া হান্টার ও মেয়ে নাওমি বাইডেন মারা যান।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের সঙ্গে ফার্স্টলেডি জিল জ্যাকবসের পরিচয় হয় ১৯৭৫ সালে। এর ৩ বছর আগে ১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় বাইডেনের প্রথম স্ত্রী নেইলিয়া হান্টার ও মেয়ে নাওমি বাইডেন মারা যান।
 
 
তখন বাইডেন ছিলেন ডেলাওয়ারের সিনেটর আর জিল ছিলেন কলেজ শিক্ষক। বাইডেনের এক ভাই জিলের সঙ্গে বাইডেনের পরিচয় করিয়ে দেন। জিলের প্রথম স্বামী ছিলেন কলেজ পর্যায়ের ফুটবল খেলোয়াড় বিল স্টিভেনসন। ইনসাইডার ডটকম। জিল জ্যাকবস জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫১ সালে নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে, তিনি বড় হন ফিলাডেলফিয়ায়। জিলের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর তারা একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যান। কিছুদিন প্রেম করার পর জিলকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বাইডেন। একে একে পাঁচবার প্রস্তাব দেয়ার পর জিল ভেবেচিন্তে বাইডেনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
 
ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক জিল একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী। বাইডেনকে বিয়ের পর বাইডেনের আগের সন্তানদেরসহ সব কিছুকে আপন করে নেন তিনি। বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থিতা ঘোষণার পর জিলের সেই ডেলাওয়ার ব্র্যান্ডিউইন কলেজে এক অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বাইডেনের পক্ষে বক্তব্য দেন জিল। বাইডেনও নিজের বক্তব্যের সময় স্ত্রীর প্রশংসা করেন এবং বলেন- এমন একজন মানুষ যিনি আপনাদেরকে ভালো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তিনি যদি ফার্স্টলেডি হন তবে মন্দ হয় না।
 
বাইডেন যেভাবে ভেঙে না পড়ে লেগে থাকার মানসিকতা লালন করেন, তাতে তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়ে আস্থা জন্মেছিল স্ত্রী জিলের মনেও। তিনি ওই কলেজ সভায় ছেলে বো বাইডেনের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে বলেছিলেন, তিনি আমাদের সবাইকে আকড়ে রাখেন। নির্বাচিত হলে তিনি মার্কিন পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াবেন। ১৯৭৫ সালে পরিচয়ের পর ১৯৭৭ সালে নিউইয়র্কে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জিল ও বাইডেন। তখন থেকে জিল জ্যাকবস হয়ে
 
যান জিল বাইডেন। তাদের বিয়ের ৪৩ বছর চলছে। সুখে-দুঃখে স্বামীর পাশে থাকা জিল ৬৯ বছর বয়সে ফার্স্টলেডি হতে যাচ্ছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শহরে শহরে রীতিমতো উৎসব চলছে। উদযাপনে পিছিয়ে নেই বাইডেনের বাবার দেশ আয়ারল্যান্ডও। বংশের ছেলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছে। সেই খুশিতে রাস্তায় নেমে নেচে-গেয়ে আনন্দ-উল্লাস করছে ভাই-বোন ও আত্মীরস্বজন।
 
আয়ারল্যান্ডের ছোট একটি শহর বাল্লিনা। মাত্র ১০ হাজার লোকের বাস। এই শহরেই বাস করতেন বাইডেনের পূর্বপুরুষ। শুধু বাল্লিনাতেই নয়, বাইডেনের পূর্বপুরুষরা থাকতেন আয়ারল্যান্ডের কালিংফোর্ডেও। এখানে এখনও বাইডেনের দূর সম্পর্কের আত্মীয়স্বজন থাকেন। তেমনই একজন জো ব্লিউইট।
 
তিনি সম্পর্কে বাইডেনের চাচাতো ভাই হন। বেশ কয়েকবার বাইডেনের সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। জো ব্লিউইট বলেছেন, বাইডেন একদম মাটির মানুষ। পুরোদমে পারিবারিক।
নেচে-গেয়ে বাইডেনের জয় উদযাপন করছেন এলাকার মানুষজনও। রাস্তায় বেরিয়ে তারা নাচানাচি করছেন, শ্যাম্পেইন ছিটিয়ে করছে আনন্দ-উল্লাস। বাইডেনের প্রচার দলের একজন এডওয়ার্ড ব্লিইউইট বলেন, জো বাইডেনের পূর্বপুরুষদের ১০ জনই আয়ারল্যান্ডে বাল্লিনা শহরে জন্মেছিলেন।
 
গত শনিবার যখন বাইডেনের হোয়াইট হাউসে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়, সঙ্গে সঙ্গে এই ছোট শহরের বাসিন্দারা সাফল্যের উদযাপনের জন্য রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। স্মিলার মিশেল নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, আমি মনে করি বাল্লিনা বিশ্বকে রক্ষা করেছে। কারণ বাল্লিনা ছাড়া কোনো জো বাইডেনের জন্মই হতো না। তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, এই শহর আজ রাতে বিশ্বকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। কারণ বাল্লিনা ছাড়া তো আর জো বাইডেনকে কল্পনা করা যায় না।’
 
শহরের মানুষ গাড়িতে বেলুন লাগিয়ে আনন্দ-উল্লাস করছে। একটি গাড়িতে নম্বর প্লেটের ওপর লেখা ‘পেনসিলভানিয়া বাইডেন # ১’। এই পেনসিলভানিয়া জেতার পরই নিশ্চিত হয়ে যায় বাইডেনের হোয়াইট হাউসে যাওয়া। স্থানীয় রাজনীতিবিদ মার্ক ডাফি বলেন, ‘বাল্লিনা আয়ারল্যান্ডের পশ্চিমে একটি ছোট শহর। এই শহরের অতীতে নিজস্ব চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন আমরা আমাদের উজ্জ্বল সময় পার করছি। আমরা সবাইকে এই শহরে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। এই শহর বিশ্বের অন্যতম একটি সুন্দর শহর। এর আশপাশে রয়েছে হ্রদ, পাহাড় আর বন।’
 
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK