রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৮:২৯
ব্রেকিং নিউজ

৬ টুকরা করে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লাশ লুকিয়েছিলেন ইমাম

৬ টুকরা করে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লাশ লুকিয়েছিলেন ইমাম

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীর দক্ষিণখানে সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আজহারুল (৩৫) নামে এক যুবকের টুকরো করা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৫ মে মঙ্গলবার ভোরে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। র‍্যাব জানিয়েছে, মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানের সঙ্গে বিরোধের জেরেই স্থানীয় আজহারকে হত্যা করা হয়। ২৫ মে মঙ্গলবার বিকালে কাওরানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম। তিনি জানান, মাওলানা মো. আব্দুর রহমান সরদারবাড়ি জামে মসজিদে ৩৩ বছর ধরে ইমামতি করেছেন। নিহত আজহারের ছেলে আরিয়ান মসজিদটির মক্তবে পড়াশোনা করতো। নিহত আজহারও তার কাছে কুরআন শিখতো। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। গত ১৯ মে মাওলানা আব্দুর রহমানের সঙ্গে আজহারের কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আজহারের গলার ডানপাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আব্দুর রহমান। এতে আজহারের মৃত্যু হলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার লাশ টুকরো টুকরো করে সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে আব্দুর রহমান। এরপর এতোদিন ধরে নিজের ঘরেই অবস্থান করছিলেন তিনি।

লে. কর্নেল মোত্তাকিম জানান, এই ঘটনায় সঙ্গে পরকিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা আমরা যাচাই বাছাই করছি। এখনই কিছু বলতে পারছি না। তবে ইমাম আব্দুর রহমান বলেছেন, আজহার আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে এবং বলেছে তার স্ত্রীর দিকে আমি (আব্দুর রহমান) কু-দৃষ্টি দিয়েছি। এই কারণে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই রাগান্বিত হয়ে হত্যার ঘটনা সংগঠিত হয়। এশার নামাজের পর থেকে ফরজের আযানের আগ পর্যন্ত আজহারকে কুপিয়ে ছয় টুকরা করা হয়। এরপর মসজিদের সেফটি ট্যাংকে টুকরা করা মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয়।

নিহতের স্ত্রী র‍্যাব হেফাজতে আছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে নিহতের স্ত্রী আসমা বেগমকে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। ধারালো অস্ত্রগুলো কিভাবে এলো জানতে চাইলে লে. কর্নেল আব্দুল মোত্তাকিম বলেন, তিনি (ইমাম) দীর্ঘদিন ধরে ওই মসজিদে চাকরি করতেন। কোরবানির সময় পশু জবাই করার জন্য তিনি এগুলো রাখতেন। সেই অস্ত্র দিয়েই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর আগে গতকাল সোমবার মসজিদের সিঁড়িতে রক্তের দাগ ও সেফটি ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এছাড়া স্থানীয় আজহারকে ১৯ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল। এমন ঘটনায় অনুসন্ধান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে র‍্যাব ইমামকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা জানতে পারে। এ সময় অভিযুক্তের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি চাকু ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ