রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৫:৫৯
ব্রেকিং নিউজ

ফাঁকা ঢাকার সড়কে চলাচলে স্বস্তি

ফাঁকা ঢাকার সড়কে চলাচলে স্বস্তি

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক : কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ডের দূরত্ব মাত্র ১৩ কিলোমিটার। এই ১৩ কিলোমিটার যেতে কখনো আমাদের ৩-৪ ঘণ্টাও লাগে। রাজধানীর ব্যস্ততম এই সড়কে হাতে গোনা যানবাহন থাকায় এখন চাইলে ২৫ থেকে ৩০ মিনিটেই পৌঁছানো যাবে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় সড়কে কমে গেছে যানবাহনের চাপ। ফলে রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাওয়া যাচ্ছে ভোগান্তি ছাড়াই। ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়েছে ১২ মে। তবে রাজধানীবাসী বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে। তাই ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিন ১৩ মে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বড় একটি অংশই ফাঁকা। নেই না চিরচেনা যানজট। ব্যস্ততম শহর ঢাকা তাই কার্যত বলা যায় ফাঁকা।

রাজধানীর উত্তরা থেকে কুড়িল বিশ্ব রোড এসেছেন আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতিদিনই আমাকে কুড়িল আসতে হয়। অন্য দিনের তুলনায় আজ তার অর্ধেকেরও কম সময় লেগেছে। মিরপুর থেকে এসেছেন আরেক কর্মজীবী আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, অন্য দিনের তুলেনায় আজ অর্ধেকেরও কম সময়ে আসতে পেরেছি। কালশী থেকে বাসে লেগেছে মাত্র ১০ মিনিট। আগে কম করে হলেও ৩০ মিনিট লাগতো।

শুধু কুড়িল বিশ্বরোড থেকে গুলিস্তান নয় একইভাবে গাবতলী, মিরপুর, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেটসহ অন্য এলাকা থেকেও আসা-যাওয়ার সময় অনেক কমে গেছে। এসব এলাকার রাস্তা ছিল অনেকটাই ফাঁকা। তবে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে গ্রামমুখী মানুষের কিছুটা চাপ লক্ষ্য করা যায়। রাজধানীবাসী ঢাকা ছাড়ায় ঢাকার রাস্তায় কমে গেছে বাস চলাচলও। গাবতলী থেকে আসা অছিম পরিবহনের সুপারভাইজর রাশেদুল আলম বলেন, সবার ধারণা ছিল ১৩ মে বৃহস্পতিবার ঈদ হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। তাই রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যাও হাতে গোনা।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল আজিজ বান্ধবীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিন বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবো না। ঢাকার রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেছে। তাই একটু ঘুরতে বেরিয়েছি। নতুন বাজার বাসস্ট্যান্ডে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় যানবাহনের চাপ ছিল। বুধবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ খুবই কম। ১৩ মে বৃহস্পতিবার সড়কে গাড়ির সংখ্যা আরও কম। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে বলা হয়, ঢাকা শহরে বর্তমানে দুই কোটির বেশি মানুষের বসবাস। তবে ঈদ উপলক্ষে কত মানুষ ঢাকা ছাড়ে, তার নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির ভাষ্যমতে, ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ গ্রামে ঈদ করতে যায়। তবে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করায় এবছর এত মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারেনি।
উত্তরণ বার্তা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ